• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

নিজ সংস্থাকেই আদালতে নিলেন আজহার


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৮, ২০১৭, ৮:০৫ PM / ৩৮
নিজ সংস্থাকেই আদালতে নিলেন আজহার

 
ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে কলঙ্কিত হয়েছেন। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আজীবন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তিও পেয়েছেন। কিন্তু সেই রাহুগ্রাস থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনের। হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েও যে একই কারণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তিনি। তবে দমে যাচ্ছেন না আজহার। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার এইচসিএ’র সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাতে আটকে গেছে সংস্থাটির অভিভাবক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।

লোধা কমিটির সুপারিশের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এইচসিএ’র প্রেসিডেন্ট পদ হারান আরশাদ আইয়ুব। সেই পদের জন্যই লড়তে চেয়েছিলেন আজহার। কিন্তু তার মনোনয়ন বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার কে রাজিব রেড্ডি। যুক্তি ছিল, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আজহারের নিষেধাজ্ঞা মুক্তির ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী এই পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে অন্তত একবার করে নির্বাহী সদস্য এবং অফিস-বিয়ারার হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেটিও নেই আজহারের।

মঙ্গলবার তাই আজহারকে ছাড়াই হয়ে গেছে এইচসিএ’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু আজহার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় ফল আটকে গেছে। আদালত আজহারের আপিলের ওপর শুনানি করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফল ঘোষণা হচ্ছে না। তাতে জানা হচ্ছে না নির্বাচনে লড়াই করা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জি বিভেকানন্দ ও বিদ্যুৎ জয়সিমহার মধ্যে কে হতে যাচ্ছেন সংস্থাটির প্রধান। যেখানে অনিল কুম্বলে ও ইমরান মেহমুদ লড়ছেন সহ-সভাপতি পদের জন্য।

রিটার্নিং অফিসার রাজিব রেড্ডি জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ব্যালটবাক্স উপল পুলিশের অধীনে সংরক্ষিত থাকবে। অন্যদিকে আজহার বলেছেন, ‘আমি মনোনয়ন দাখিল করেছিলাম। কিন্তু সেটি প্রত্যাখ্যান হয়েছে। যেটা হতাশার। তাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি জানতে চাই কি কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল অধিনায়কদের একজন আজহার। তিনটি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯২, ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার গৌরব রয়েছে তার। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে লড়াই শেষে ২০১১ সালে অন্ধ্র প্রদেশের হাইকোর্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দেশের জার্সিতে ৯৯ টেস্টে ২৪টি সেঞ্চুরিতে ৬ হাজারের বেশি রান করার কৃতিত্ব আছে তার। এর আগে মুরাদাবাদ থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে একবার এমপিও নির্বাচিত হয়েছিলেন আজহার।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৮:০৫পিএম/১৮/১/২০১৭ইং)