• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

নিকৃষ্ট অভিনয়ে আপত্তি ছিল না ট্রাম্পের


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৪, ২০১৭, ১১:৫৩ AM / ৫৩
নিকৃষ্ট অভিনয়ে আপত্তি ছিল না ট্রাম্পের

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ওয়াশিংটন : ‘কোটি কোটি টাকা, বিলাসবহুল জীবন এবং নারী আসক্তি’ ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে এতদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ ভাবেই চিনতেন মার্কিনবাসী।

‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’–এর হাত ধরে ধুরন্ধর টেলিভিশন প্রযোজক পরিচিতি তৈরি করেছেন বটে, কিন্তু টেলিভিশন জগতে ট্রাম্পের উত্থানের কাহিনী মোটেও মসৃণ নয়। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হলেও, প্রচারের আলোয় আসার ইচ্ছ বহুদিনের।

সেই ইচ্ছাতে ভর করেই আশির দশকে ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’–এর চার দেওয়াল টপকে বিনোদন জগতে পা রাখেন ডোনাল্ড জন ট্রাম্প।

প্রথমদিকে নিজের সংস্থার বিজ্ঞাপনেই মুখ দেখাতেন তিনি। পরে কম বাজেটের ছবি এবং বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেখা দিতে শুরু করেন।

অত বড় ব্যবসায়ী হলে কী হবে, এক্কেবারে ছোট চরিত্রে মুখ দেখাতেও কোনও আপত্তি ছিল না তার। ১৯৮৯ সালে ‘ঘোস্টস ক্যান্ট ডু ইট’ ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে মুখ দেখান তিনি। এতটাই খারাপ অভিনয় করেছিলেন যে, সবচেয়ে খারাপ অভিনেতা হিসেবে ‘র্যা জি অ্যাওয়ার্ড’ জুটেছিল কপালে। তবে পিছু হটেননি তিনি।

১৯৯২ সালে ‘হোম অ্যালোন: লস্ট ইন নিউ ইয়র্ক’ ছবির একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল তাকে। ওই বছরই উইল স্মিথ অভিনীত ‘দ্য ফ্রেশ প্রিন্স অফ বেল এয়ার’–এ মুখ দেখান। এরপর বেশ কিছু টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং ছবিতে মুখ দেখানোর পর, ১৯৯৬ সালে আমেরিকান সিটকম ‘স্পিন সিটি’ এবং ১৯৯৮ ও ১৯৯৯–তে ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ সিরিয়ালে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন।

তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, ছোট–বড় যে কোনও সিরিয়াল, ছবি, বা বিজ্ঞাপন হোক না কেন সবক্ষেত্রেই ধনী, প্রভাবশালী এবং নাকউঁচু ব্যবসায়ী হিসেবে দেখা দিয়েছেন তিনি। তবে মার্কিনবাসীর সামনে নিজের দর হাঁকানোর জন্য এইটুকু যথেষ্ট ছিল না।

তাই ২০০৪ সালে নিজের প্রযোজিত ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নামের একটি রিয়্যালিটি শো নিয়ে আসেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে উঠেপড়ে লাগেন তিনি। যাতে শেষ পর্যন্ত সফল হন তিনি। ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নিঃসঙ্কোচে টেলিভিশনে বিবৃতি দিতে দেখা গিয়েছিল ৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে।

তার উত্তরসূরি ট্রাম্প অবশ্য ঢের আগেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন। মধ্যবিত্ত মার্কিনবাসীদের মনোভাব আগে থেকেই মেপে রেখেছিলেন। যে কারণে নির্বাচনী প্রচারে অশ্লীল এবং বিদ্বেষভরা মন্তব্য করে জনপ্রিয়তা টিকিয়ে রাখতে সফল হয়েছিলেন। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মেপে কথা বলতে অভ্যস্ত হিলারি ক্লিন্টন নন, সাধারণ মার্কিনবাসী তাকেই দেশের সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছেন।
আজ পর্যন্ত যে সব ছবি ও সিরিয়ালে মুখ দেখিয়েছেন ট্রাম্প

সিরিয়াল:

দ্য জেফারসন্স (১৯৮৫)

দ্য ফ্রেশ প্রিন্স অফ বেল এয়ার (১৯৯৪)

দ্য ন্যানি (১৯৯৬)

সাডেনলি সুজ্যান (১৯৯৭)

দ্য ড্রিউ ক্যারি শো (১৯৯৭)

নাইট ম্যান (১৯৯৭)

স্পিন সিটি (১৯৯৮)

সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি (১৯৯৯)

দ্য জব (২০০১)

স্যাটারডে নাইট লাইভ (২০০৪, ২০১৫)

ডেজ অফ আওয়ার লাইফ (২০০৫)

৫৮তম প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডস (২০০৬)

ডব্লিউ ডব্লিউ র (২০০৭)

রেসল ম্যানিয়া ২৩ (২০০৭)

টপ গিয়ার ইউএসএ (২০১২)

দ্যা মেন দু বিল্ট আমেরিকা (২০১২)

ছবি:

ঘোস্ট ক্যান্ট ডু ইট (১৯৮৯)‌

হোম অ্যালোন–২ লস্ট ইন নিউ ইয়র্ক (১৯৯২)

দ্য লিটল রাসকেলস (১৯৯৪)

অ্যাক্রস দ্য সি অফ টাইম (১৯৯৫)

এডি (১৯৯৬)

দ্য অ্যাসোসিয়েট (১৯৯৬)

৫৪ (১৯৯৮)

সেলিব্রিটি (১৯৯৮)

জুল্যান্ডার (২০০১)

টু উইকস নোটিস (২০০২)

ওয়াল স্ট্রিট: মানি নেভার স্লিপস (২০১০)
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৫০এএম/২৪/১/২০১৭ইং)