না’গঞ্জে ১শ’ টাকা চুরির অভিযোগে স্ত্রীকে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করল পাষন্ড স্বামী

নারায়ণগঞ্জ(ফতুল্লা) প্রতিনিধি : ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দার বাজার মোল্লা টাওয়ার এলাকায় স্ত্রীকে ১শ টাকার চুরির চোর আখ্যা দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে। এ ঘটনায় গতকাল (৩১ আগষ্ট ) রাত সাড়ে ৮টায় ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতিত স্ত্রী হালিমা বেগম (২১)।
এ অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন ভোলাইল গেদ্দার বাজার মোল্লা টাওয়ার সংলগ্ন এলাকার হাফিজ উদ্দিন হাওলাদার (৬৫)। তার ছেলে মো. মিজানুর রহমান মাহফুজ (৩২)। সে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক গত ৭ মাস পূর্বে হালিমা বেগম কে বিবাহ করেছে। হালিমা বেগম ভোলা জেলার লাল মোহন থানাধীন পশ্চিম ফুল বাগিচা গ্রামের মো. দ্বীন ইসলামের কন্যা। বিয়ের পর ২/৩  মাস সাংসারিক জীবন ভালো চললেও বর্তমানসহ গত চার মাস যাবৎ যৌতুকের টাকা দাবী করে হালিমাকে মানসিক ও শাররিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে স্বামী মিজানুর রহমান মাহফুজ ও তার মা মোসা: বকুল বেগম (৬০)। গত ১৮ আগষ্ট রাত ১০ টায় ১শ টাকা চুরির ঘটনায় হালিমাকে চোর আখ্যা দিয়ে মাহফুজ ও তার মা রাতে হালিমার মাথা কেচি দিয়ে চুল কেটে দেয়। এরপর  শ্বাশুড়ি ঐ রাতেই তার ছেলে দ্বারা ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এপরও তাদের তেজ  শেষ হয়নি মসজীদে নিয়ে হালিমাকে কোরআন শরীফ ধরিয়ে কসম কাটায়। হালিমা কসম কাটলেও বিশ্বাস করেনি ঐ পাষন্ড স্বামী ও তার শ্বাশুড়ি। তাদের নিযার্তন দিনে দিনে বেড়েই চলছে। গতকাল (৩১ আগষ্ট) বিকেল ৪টায় হালিমেকে আবার পূর্বেও ন্যায় মারধর করে শরীরে নীলা ফুলা জখম করেছে।

এলাকাবাসী জানান, মো. হাফিজ উদ্দিন হাওলাদার বলিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন এলাকার লোক । সে ভোলাইল জায়গা কিনে বাড়ি করেছে। তার ছেলেটি নামাজি কিন্তু তার ছেলের চরিত্র ভালো না। এ যাবৎ সে তিনটি বিবাহ করেছে। হালিমা ৩য় স্ত্রী। তার নির্যাতনে প্রথম স্ত্রী চলে গেছে তাকে ত্যাগ করে। এরপর সে মালেকা নামের এক যুবতীকে বিবাহ করে ৯ বছর সংসার করেছে। তাদেও দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ২য় স্ত্রী মালেকা তার স্বামী মাহফুজ ও তার মায়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চলে যায় তাকে ত্যাগ করে। ৩য় স্ত্রী হিসেবে গত ৭ মাস আগে হালিমাকে বিবাহ করেছে। কিন্তু তাকেও নির্যাতন করে আসছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:০৮এএম/১/৯/২০১৮ইং)