• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

না’গঞ্জে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যুর পথে যুবক


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২, ২০১৯, ৭:০৭ PM / ৮৯
না’গঞ্জে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যুর পথে যুবক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ মুলি বাঁশের মোড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় তুষার নামের এক যুবক গুরুতর রক্তাক্ত জখমে আহত হয়েছে। ঐ যুবক বর্তমানে চিকিৎসা অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ শে ডিসেম্বর রোববার রাত সাড়ে ৯টায়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা প্রায় ৮টায় ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ মুলি বাঁশের মোড়ে উত্তর তল্লা এলাকার তুষার নামের এক অটো চালক আড্ডা দিচ্ছিল এমন সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী সানজিলের নেতৃত্বে শনয়, শোভন, হৃদয়, আশিক, সাদিপ, মামুন, তারেক, রাসেল, শফিক, আলমগীরসহ আরও কয়েকজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিত ভাবে তুষারের উপর হামলা চালায়। হামলায় সানজিলের সাথে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় তুষারের। এসময় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও রড দিয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে তুষারকে গুরুতর আহত করলে তুষার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঐ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে এবং সন্ত্রাসীরা তুষারের মৃত্যু হয়েছে মনে করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ পথচারীরা তুষারকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুষারের অবস্থা বেগতিক দেখে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আহত তুষারকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৩১ ডিসেম্বর সকালে অস্ত্রপ্রচার করে। অস্ত্রপ্রচারে দেখাযায় মাথার খুলি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়েছে এবং বাম হাতের হাড় ভেঙে গেছে। বর্তমানে আইসিউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় আহত তুষারের বড় ভাই জিএম মোস্তফা জানান আমরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি কিন্তু যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আমার ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আগে চিকিৎসা করাই পরে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আরও জানা যায় উত্তর তল্লা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম আজমের দ্বিতীয় পুত্র তুষার। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি অটোরিক্সা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় তুষারের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে বিবাদীরা মামলা না করার জন্য একের পর এক জীবননাশের হুমকী দিয়ে আসছে। উপরোক্ত ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও র‌্যাবের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৭:১২পিএম/২/১/২০১৯ইং)