• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন

তমালতলায় প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকার আম বেচা-কেনা


প্রকাশের সময় : জুন ১১, ২০১৭, ৮:৫২ PM / ৩৩
তমালতলায় প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকার আম বেচা-কেনা

 

মো. ফজলে রাব্বি, বাগাতিপাড়া (নাটোর) : নাটোরের সবচেয়ে বড় আমের আড়ত নামে খ্যাত বাগাতিপাড়ার তমালতলা বাজারে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার আম বেচা-কেনা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রায় তিনশ শ্রমিকের দু’মাসের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আড়ত ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
পঞ্চাশ টাকা নোটে শোভিত সেই বাঘা শাহী মসজিদের দেয়ালের শিলালীপীতে আমের নকশা দেখেই বুঝা যায় এ অঞ্চলের আমের খ্যাতি অনেক পুরোনো। তারই পার্শ্ববর্তী নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলাও এখন আমের জন্য বেশ বিখ্যাত। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার প্রায় ৬০ ভাগ আম এ উপজেলায় উৎপাদিত হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আম ঢাকা, চট্রগাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়।
আড়তদাররা জানান, চলতি মওসুমে কয়েক দফা ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আমের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন একেবারে কম হয়নি। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় সীমা পার হওয়ায় কয়েকটি জাতের আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গোপালভোগ, লক্ষণ ভোগ, ক্ষীরসাপাত, ল্যাংড়া, নাক ফজলি, তোতাপুরি ও আঁটি জাতের আম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তমালতলা বাজারে আড়তগুলিতে আম ভর্তি ভ্যান লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। বাগান থেকে সংগৃহিত আম ক্যারেটে করে আড়তে নামানো হচ্ছ্। সব আমই টাটকা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আড়তে আমের দর-দাম করছেন।
উষা ফল ভান্ডারের আড়তদার উজ্জ¦ল জানান, তমালতলা বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ ট্রাক আম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হচ্ছে। এ বাজারে মোট ৩০ টি আড়ত রয়েছে। প্রতিটি আড়তে প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার আম বেচা-কেনা হচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে তমালতলা বাজারে প্রায় অর্ধকোটি টাকার আম বেচা কেনা হচ্ছে। তবে এ মৌসুমেই তা ছাড়িয়ে কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে। এদিকে সব আম ফরমালিন মুক্ত বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এসব আড়তে প্রায় তিনশ’ শ্রমিক প্রায় দুই মাসের কর্মসংস্থান পেয়েছে।
রাব্বি ফল ভান্ডারের আড়তদার কাবিল জানান, বর্তমানে লক্ষণ ভোগ (লকনা) আমের দাম কিছুটা কম হলেও অন্য জাতের আমের দাম ভালো। বর্তমানে লক্ষণ ভোগ আম মণ প্রতি ৯শ’ ৫০ টাকা থেকে ৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গোপালভোগ ১ হাজার ৭শ’ হতে ১ হাজার ৮শ’ টাকা এবং আঁটি জাতের আম ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ জানান, কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহের লক্ষ্যে মওসুমের শুরু থেকে কৃষিবিভাগও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রেখেছে। এছাড়াও বাগান মালিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদেরকে সচেতন করা হয়েছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৮:৫২পিএম/১১/৬/২০১৭ইং)