ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১ সেপ্টেম্বর(শনিবার) বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জনসভায় এ দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির সব কথার শেষ কথা, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এর সকল দায়ভার এই সরকারকেই বহন করতে হবে।’
জাতীয় ঐক্য গঠনে এগিয়ে আসা রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন আর ভেদাভেদ নয়, আসুন গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন নিশ্চিত করি। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করি। কারণ দেশের মানুষ এই সরকারের লুটপাট, নির্যাতন এবং অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি চায়।
আওয়ামী লীগের নেতারা দুঃস্বপ্ন দেখে, আসলো আসলো বিএনপি আসলো; খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আসলো। এই নিয়ে তাদের ঘুম হয় না। ২৪ ঘণ্টাই তাদের ভীতি কাজ করে। এ থেকে রক্ষা পেতে এখন ইভিএম নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কারণ তারা জানে এবার নির্বাচনে জনগণ তাদের রক্ষা করবে না।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘বুকে সাহস নিয়ে প্রতিরোধ করতে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই সরকার ইচ্ছে করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। তাই আমরা খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে দেখতে চাই না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাস আলিমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৮:৪০পিএম/১/৯/২০১৮ইং)
আপনার মতামত লিখুন :