• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

জাল কাবিন দিয়ে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর দ্বিতীয় দফা যৌতুকের মামলা!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৫, ২০১৮, ৮:২৭ PM / ৩৭
জাল কাবিন দিয়ে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর দ্বিতীয় দফা যৌতুকের মামলা!

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঝিনাইদহ : স্ত্রীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ এক র্যাব সদস্য একাধিক মিথ্যা মামলা বাঁচতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মিরা খাতুনের দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ তে কর্মরত মোঃ শাকিবুর রহমান। শাকিবুর রহমান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামের ইসাহাক আলী মিয়ার ছেলে। শাকিবুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, স্ত্রীর দায়ের করা দেন মোহর ও খোরপোশের মামলা ঝিনাইদহের পারিবারিক আদালতে নিস্পত্তি হওয়ার পরও তার সাবেক স্ত্রী কাজীর সহায়তায় জাল কাবিননামা তৈরী বরে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি হয়রানীমুলক মামলা করেন। এই মামলায় তার বৃদ্ধ পিতামাতাকেও আসামী করা হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হরিণাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মুরাদ আলীর মেয়ে মিরা খাুতনের সাথে তার বিয়ে হয়। র্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী চুয়াডাঙ্গা জেলাতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। পরে তাকে আমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামে নিয়ে আসি। তাকে বাড়ি আসার পর স্ত্রী মিরা খঅতুন আমার বৃদ্ধ বাবা মাকে রান্না করে খাওয়াতে পারবে না বলে শর্ত দেয়। বাড়িতে রেখে আসার পর স্ত্রী অবাধ্য চলাফেরা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, পরকীয়াসহ বিভিন্ন জঘন্যতম কাজ লিপ্ত হয়। এ সব কাজের প্রতিবাদ করলে স্ত্রী আমাকে চাকরীট্যুত করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। তাতেরও কাজ না হলে সে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুকের মামলা করে। মামলায় হেরে গিয়ে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে ২০/০২/২০১৮ ইং তারিখে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় আমার ঘরে রক্ষিত স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে একমাত্র কন্যাসন্তান ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর গত ২২/০৩/২০১৮ ইং তারিখে তালাক প্রদানসহ আদালতের মাধ্যমে দেনমোহর ও খোরপোশ বাবদ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। এরপরও সে জাল কাবিননামা তৈরি করে পুনরায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য মামলা করছে। আর এই জাল কাবিননামা তৈরী করতে সহায়তা করেছে হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের কাজী পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আজিজুর রহমান। র্যাব সদস্য শাকিবুর অবিযোগ করেন, ২০১৪ সালে স্ত্রী মিরা খাতুনকে তালাক না দিলেও কাজী আজিজুর রহমান জাল জোচ্চুরির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় কাবিননামা তৈরী করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করার ডকুমেন্ট তৈরী করে দিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় করা জাল কাবিনে তালাকপ্রাপ্ত কথাটি উল্লেখ রয়েছে। অথচ আমি স্ত্রী মিরা খাতুনকে তালাক দিয়েছে ২২/০৩/২০১৮ ইং তারিখে। ভূয়া কাবিনামা তৈরি করে আমাকে হয়রানী করার অপরাধে আমি কাজী আজিজুর রহমান ও তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মিরা খাতুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পৃথক দুই মামলা করেছে। এ ছাড়া আমাকে হত্যার হুমকী দেওয়ার কারণে আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় দুইটি জিডিও করেছি। জাল কাবিন তৈরীর বিষয়ে হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের কাজী মোঃ আজিজুর রহমান বলেন আমার কাছে তালাকের কাগজ আছে। সেটা দেখেই আমি দ্বতীয়বার বিয়ে পড়িয়েছি। র্যাব সদস্য শাকিবুর রহমানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মিরা খাতুন বলেন, আমাকে তালাক দেওয়া বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে সে প্রচুর নির্যাতন করতো। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমাকে ছাদ থেকে ফেলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে সব মিথ্যা, বানোয়াট।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৬:৪৫পিএম/৫/৪/২০১৮ইং)