• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

জামালগঞ্জে কাবিখা’র ৫০ হাজার টাকা যুবলীগ সভাপতির পকেটে


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৮, ২০১৮, ৮:২৯ PM / ৭৯
জামালগঞ্জে কাবিখা’র ৫০ হাজার টাকা যুবলীগ সভাপতির পকেটে

সেলিম আহমদ তালুকদার, জামালগঞ্জ : জামালগঞ্জে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচীর আওতায় একটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় যুবলীগনেতা আবুল খায়ের তারই ভাতিজা শহিদকে পিআইসি কমিটি’র সদস্য সচিব দিয়ে অভিনব কৌশলে সরকারি উন্নয়ন কাবিখা’র বরাদ্দের টাকা লুটের চেষ্ঠা করছেন। পিআইসি কমিটি’র সভাপতি ইউপি সদস্য হলেও কলকাটি নাড়ছেন ঐ যুবলীগনেতা। ২০১৭ -২০১৮ অর্থ বছর শেষ হলেও উক্ত বরাদ্দের পুরো টাকা পায়নি মসজিদ কমিটি, রাস্তা মেরামতের কাজও করেনি।  জানাযায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের দ্বিতীয় পর্যায়ে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাঁধবাজার মসজিদের মাটি ভরাট ও নোয়াহালট গ্রামের ডিসিসিআর রোড থেকে আবুল খায়েরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত কাজে বরাদ্দ দেয়া হয় ১০ মেট্রিকটন চাল। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি’র সভাপতি হলেন ইউপি সদস্য আশিক নুর ও সদস্য সচিব হন জামালগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবুল খায়েরের ভাতিজা শহিদ মিয়া। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াহালট গ্রামের ডিসিসিআর রোড থেকে আবুল খায়েরের বাড়ি পাকা রাস্তার কোথাও কোন মেরামতের কাজ নেই। স্থানীয়দের দাবী, রাস্তায় কোন কাজ হয়নি। যুবলীগের একনেতা তার ভাতিজাকে পিআইসি কমিটিতে রেখে অভিনব কৌশলে সরকারি টাকা লুটের চেষ্ঠা করছেন। অপরদিকে বাঁধ  বাজার মসজিদেও কোন মাটি ভরাটের কাজ হয়নি। তবে মসজিদের মোতওয়াল্লী জানান, বরাদ্দের ৫ টন চালের বরাদ্দের মধ্যে আড়াই টন চালের মুল্য বাবদ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি কিন্তু বাকিটার খবর জানিনা। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও পিআইসি কমিটি’র সভাপতি আশিক নুর বলেন, কাবিখা কাজের মসজিদের ৫ টনের মধ্যে অর্ধেক আড়াই টন চালের টাকা ৫০ হাজার টাকা মসজিদ কমিটি’র কাছে দিয়েছে। আর একই প্রকল্পের অপর অংশ নোয়াহালট গ্রামের ডিসিআর রাস্তা হতে আবু খায়েরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার বরাদ্দের টাকা জামালগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবুল খায়েরের কাছে দিয়েছি। আমি তাকে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু যুবলীগনেতা আবুল খায়ের পিআইসি কমিটি’র সভাপতি ও সদস্য সচিব ভাল জানেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি। জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া বলেন, আমরা অগ্রিম বিল বাবদ ১০ টনের মধ্যে ৫ টনের বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি বিল কাজ না করলে দিবনা। অনিয়ম করে থাকলে তদন্তপুর্ব আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম আল ইমরান বলেন, আমি কাজের খোঁজ খবর নেব। অনিয়ম করে থাকলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৮:২০পিএম/১৮/৭/২০১৮ইং)