• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন : কেন্দ্রীয় পদ প্রত্যাশী ঢাকা কলেজ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০১৮, ১১:৪১ PM / ৬৭
ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন : কেন্দ্রীয় পদ প্রত্যাশী ঢাকা কলেজ

মাহাবুব আলম শ্রাবন (বিশেষ প্রতিনিধি) : আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং সকল নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী মাসের ১১ ও ১২ তারিখ। ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন নেতৃত্বে আসেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত বছরের ২৬ জুলাই এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলন কিংবা কাউন্সিলের আয়োজন এখনও হয়নি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সরব পদপ্রত্যাশী এক ডজন নেতা। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের শীর্ষ পদসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে বিভিন্ন মহলে বেড়েছে পদপ্রর্থীদের ‘যোগাযোগ’। বিশেষ করে যাদের বয়স এখনো আছে, তাদের দৌড়ঝাঁপ লক্ষ্য করার মতো।

ছাত্রলীগের ২৯তম কাউন্সিলের উত্তেজনা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগরীর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও কাউন্সিলের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সবারই একই চিন্তা, একই প্রশ্ন ‘লবিং-তদবির’ না ‘যোগ্যতা’। কোন মানদন্ডে ছাত্রলীগের ২৯তম কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন করা হবে।

পালের হাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে থাকলেও ইতিমধ্যে মাঠে নেমে শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম  শক্তিশালী ইউনিট, দুর্দিনে দেশরত্নের বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড “ঢাকা কলেজ” থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা। আগামী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পদ চায় ঢাকা কলেজের পদপ্রত্যাশীরা।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কেবল লবিংয়ের শর্তে নয়, পাশাপাশি যতদূর সম্ভব দক্ষতার সাথে কমিটির শীর্ষ পদ দাবি করছে।  ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা কলেজ  ছাত্রলীগের স্লোগান মাষ্টারখ্যাত,বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সহ-সম্পাদক, মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাসুম বিল্লাহ ও চয়ন শেখের নাম।

এখন, নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্রলীগের ২৯ তম কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লবিংয়ের শক্তিতে নির্বাচিত করা হবে নাকি নেতাদের যোগ্যতা মাপদন্ডের ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হবে? কাউন্সিলের উত্তেজনা এখন প্রতিটি ইউনিভার্সিটি, কলেজ এবং অন্যান্য ইউনিটেও এর প্রভাব অনুভব হচ্ছে। কিছু ছাত্রলীগ কর্মী থেকে জানা যায়, শীর্ষ নেতাদের অঞ্চলে-ভিত্তিক রাজনীতির সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে আসন্ন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনীত হতে পারেন।

লিয়াকত শিকদার সর্বশেষ ২০০২ সালে ঢাকা কলেজ হতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক  আজিজুল হক রানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কিন্তু কথিত সিন্ডিকেটের ভোটের কারণে হেরে সিনিয়র সহ-সভাপতি হন।

ঢাকা কলেজ হতে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত শিকদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নেতা প্রতিষ্ঠান দেখে নির্বাচিত করা হবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতা নির্বাচন করবেন। তিনি এমন কাউকে নেতৃত্ব দেবেন যিনি সক্রিয়, কর্মী-বন্ধুত্বপূর্ণ, পরিচ্ছন্ন এবং নির্ভরযোগ্য।”

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:৪০পিএম/২৪/৪/২০১৮ইং)