• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

চব্বিশ রাজাকার কাদের সুপারিশে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ভাতা পায়?


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৪, ২০১৮, ১১:৪১ AM / ৫৮
চব্বিশ রাজাকার কাদের সুপারিশে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ভাতা পায়?

আবীর আহাদ : একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার আহ্বায়ক লেখক গবেষক আবীর আহাদ ঝিনেইদহ জেলার চব্বিশ রাজাকার দিব্যি মুক্তিযোদ্ধা বনে গিয়ে বছর বছর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা খেয়ে চলেছে জেনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, কারা এই স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের সুপারিশ করে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে তার জবাব অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে দিতে হবে।

এক বিবৃতিতে আবীর আহাদ বলেন, আজ থেকে প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার চব্বিশ রাজাকারকে চিহ্নিত করে কাদের সুপারিশে তারা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সরকারি গেজেটভুক্ত হয়ে রীতিমতো মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা তুলে খাচ্ছে বলে ঝিনেইদহের মুক্তিযোদ্ধা ডা: মেহের আলী বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মন্ত্রী সাহেব যথারীতি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন (অভিযোগ সংযুক্ত)। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হলেও কোনো তদন্তই হয়নি! ফলে রাজাকাররাও মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে বহাল রয়ে গিয়ে যথারীতি ভাতা তুলেই খাচ্ছে! এতোবড়ো গুরুতর অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েই তিনি খালাস পেতে পারেন না। এ-বিষয়ে তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসহ ফলোআপ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। অনেকে সন্দেহ করেন যে, এই গুরুতর অভিযোগের তথাকথিত লোকদেখানো তদন্তের নির্দেশ দেয়া হলেও এটিকে পুঁজি করে পর্দার অন্তরালে বিশাল অংকের টাকা খেয়ে কেউ কেউ বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে!

আবীর আহাদ বলেন, লাল মুক্তিবার্তা, বিএনপি-জামায়াত সরকারের গেজেট ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সনদসহ বর্তমান সরকারের গেজেটে কমপক্ষে ষাট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালের মুক্তিযোদ্ধার একটি ভুয়া সংজ্ঞা ও নির্দেশিকা বলে ২০১৭ সালে একটি উদগ্র বাণিজ্যনির্ভর যাচাই বাছাইয়ের নামে লক্ষাধিক রাজাকার ও অ-মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর সুপারিশ করা হলে আমরা “একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা”র পক্ষ থেকে ঐ তথাকথিত যাচাই বাছাই বাতিলসহ মুক্তিযোদ্ধা সব তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অপসারণের দাবি জানাই। আমাদের দাবির যৌক্তিতা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ২০১৭ সালের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই স্থগিত করতে বাধ্য হন। আমরা আমাদের দাবিতে অটল। পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিতে চাই, ১৯৭২ সালের বঙ্গবন্ধু সরকারের মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞানুসারে মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। ব্যক্তি গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে অমুক্তিযোদ্ধাসহ রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মান-সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। এর পরিণাম শুভ হবে না।


আবীর আহাদ :
লেখক-গবেষক
আহ্বায়ক, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৩৮পিএম/৪/৪/২০১৮ইং)