• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

কটিয়াদীতে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩, ২০২৪, ১১:১৮ PM / ১৫৫
কটিয়াদীতে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা

রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠ জুড়ে শীতকালীন সবজির চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। সেই সাথে তারা উৎপাদিত সবজিতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।উপজেলার লোহাজুরী, জালালপুর, মসুয়া, আচমিতা ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ব্যাপক হারে নানা জাত ও উন্নতমানের সবজির চাষ করেছে। কৃষকরা সবজি চাষের মধ্যে আলু, মরিচ, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, মুলা, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ রয়েছে আরো নানা জাতের শীতকালীন সবজি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আর্থিকভাবে লাভবান ও স্থানীয় চাহিদা মেটাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন সবজির চাষ হচ্ছে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জালালপুর ইউনিয়নে চরপুক্ষিয়া গ্রামের কৃষক তফুর উদ্দিন ও জামাল মিয়া বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন নেই। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। তবে ক্ষেতে পরিচর্যায় কমতি করা যাবে না। সব ঠিক থাকলে স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগি হয়ে ওঠে। পরিবারের চাহিদাও মেটানো সমান হয় সবজি চাষই লাভজনক। ক্ষেতে ক্ষেতে নতুন শাকসবজি লাগানো পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। প্রতি বছর আগাম উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পেয়ে থাকেন স্থানীয় কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শীতকালীন সবজি চাষ অনেক বেশি লাভজনক বলে জানান তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নানা জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হচ্ছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, লাউ, লালশাক, পালংশাকসহ নানা ধরনের সবুজ শাকসবজি। কৃষকরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে আগাম জাতের সবজির ভালো হবে।

উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নে মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান ও সাইদুর রহমান বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও শিম সবজি চাষ করছি। এ বছর শীতকালীন সবজি উৎপাদন করে উপযুক্ত সময়ের আগেই সবজি বাজারে তুলতে চাই। এ জন্য একটু আগে ভাগেই চাষ শুরু করেছি।জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, টমেটো, পুঁইশাক, ফুলকপি চাষ করতে জমি প্রস্তুত করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বাজারেও বিক্রি করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, কটিয়াদীর কৃষকরা একসাথে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেছেন। এই সবজি তারা একই সাথে বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। এতে সবজি উৎপাদনে উৎসাহ বেড়ে গেছে । তাই অগ্রগামী কৃষকদের দিয়ে আগাম সবজি চাষ করাচ্ছি। তারা শিম, লাউ, চাল কুমড়া, টমেটোসহ শীতকালীন শাকসবজি চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সবজি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।