• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

এসআই রাজ্জাকের সেচ্ছাচারিতায় দিশেহারা ২ অসহায় পরিবার


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৬, ২০২২, ৯:৫৩ PM / ৫৬
এসআই রাজ্জাকের সেচ্ছাচারিতায় দিশেহারা ২ অসহায় পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল নয়াপাড়া এলাকার চা দোকানি মোঃ নাজির এর ছেলে আরমানকে গত ২৫ জুন গোদনাইল ভূইয়াপাড়া বালুর মাঠে রাত ১১টায় ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে কয়েকজন মাদকসেবি ও মাদকবিক্রেতা-ছিনতাইকারী স্থানীয় বাসের হেল্পার আরমান(১৭) ও তার বন্ধু রাকিব(১৭) এর গতিপথ রোধ করে সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা বাঁধা দিলে ছিনতাইকারীদের হাতে থাকা ছুঁরি দিয়ে আরমানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে, এতে কিছুটা আহত হয় রাকিবও।

তাদের আর্তচিৎকারে ছুটে এসে এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। পরবর্তিতে চিকিৎসক জানায়- ছুরির আঘাতে আরমানের একটি কিডনির পর্দা ছিরে সেটি নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ঘটনায় আরমান এর বাবা নাজির বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় প্রথমে অভিযোগ এবং পরে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং – ২৪।

এদিকে মামলার বাদি মো. নাজির ও আহত আরমানের অভিযোগ- ‘এসআই রাজ্জাককে বার বার না করার পরেও জোড়পূর্বক সে বিআরটিসি বাবুল এর ছেলে শুভকে আসামী বানিয়ে মামলায় নাম দিয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করেছে। সে এখন জেলহাজতে রয়েছে। অথচ এই ছেলে হামলার সময় ছিল না। তাকে একজন পাথি ব্যবসায়ী হিসেবেই আমরা চিনি। কিন্তু পুলিশ কেনো তাকে জোড়পূর্বক আসামী করল তা আমাদের জানা নেই।’

মো. নাজির আরও জানান- ‘পুলিশ নিরপরাধ শুভকে গ্রেফতার করলেও আসল আসামিদের গ্রেফতারে নানা ধরনের টালবাহানা করে যাচ্ছে প্রায় দেড় মাস যাবত। মোঃ কাশেম এর ছেলে মো. ফারুক (৩৫), আলী হোসেন এর ছেলে মো. আবির(২০), মো. পায়েল, মৃত মনসুর এর ছেলে মো. কাশেম এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদেরকে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন- ‘বারবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলেও আজ কোমড় ব্যথা, কাল পারিবারিক সমস্যা, আসামী ধরতে ভিকটিমের হাসপাতালের কাগজপত্র লাগবে সহ নানা ধরনের বাহানা দেখিয়ে আসামীদের গ্রেফতারের কোনো ভূমিকা নেই দায়িত্বরত পুলিশের। ফলে দীর্ঘদিন হলেও গ্রেফতার না হওয়ার কারনে আসামীরা বেপরোয়া হয়ে আমাকে মামলা তুলে নেবার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। ওইদিকে এসআই রাজ্জাক আসামী না ধরলেও ‘কেনো আমি এবং আমার ছেলে(হামলার স্বীকার আরমান) শুভকে নিরপরাধ বলছি, তাই সে আমাদেরকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। একদিকে আমার ছেলে মৃত্যুমুখে, তার চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ নেই আমার কাছে, কিডনীর অপারেশন করাতে পারছি না, আরেকদিকে পুলিশ ও আসামীদের দেয়া হুমকি ধামকিতে আমার পরিবার এখন দিশেহারা।

এদিকে গ্রেফতারকৃত শুভ’র বাবা বাবুল ওরফে বিআরটিসি বাবুল বলেন- ‘আমার ছেলে শুভ লেখাপড়া শেষ করে পাখির দোকান চালায়। আরমানদের পরিবার থেকে শুরু করে পুরো এলাকাবাসী আমার ছেলেকে ভাল ছেলে হিসেবে জানে। আমি জানিনা ছিনতাইকারিরা আরমানকে ছুরিকাহত করার ঘটনায় শুভকে আসামী করে কে বা কারা পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়েছে। আর যেখানে মামলার বাদি এবং ভিকটিম নিজে বার বার দায়িত্বরত পুলিশকে বলেছে যে শুভ এই ঘটনায় ছিল না, এরপরও কেনো পুলিশ আমার ছেলেকে থানায় ডেকে নিয়ে আটকে এখন জেলহাজতে পাঠালো তা জানিনা। এই ঘটনায় আমাদের পরিবার এখন প্রায় দিশেহারা।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে একাধিকবার কথা বললে তিনি প্রতিবারই বিষয়টি এড়িয়ে যান।