• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন বগুড়ার সাংবাদিকরা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১২, ২০২৪, ১:৫৬ AM / ৬০
এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন বগুড়ার সাংবাদিকরা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঈদের দিন এতিম শিশুরা অনিন্দ্য সুন্দর ভালোবাসা ঘেরা পরিবেশে মেতে উঠেছিল। দুপুরে একবেলা প্রতিটি থালায় ছিল বিরিয়ানি, গোশত ও সালাদ। সঙ্গে ছিল কোল্ড ড্রিংকস। এতিমদের সঙ্গে ঈদের দিন সময় কাটিয়েছেন সাংবাদিকরা। অন্য সবার মতোই এতিম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ঈদ উদযাপন করেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন এতিম শিশুদের মলিন মুখে দেখা দেয় হাসির ঝিলিক।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) নন্দীগ্রাম উপজেলার বর্শন নূরানী শিশুসদন ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা চত্বরে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া ও তার সহকর্মীরা উপস্থিত হন। তারা দুপুরে এতিম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারান্দায় বসে খাবার খেয়েছেন। এতিমদের জন্য নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম ও সাংবাদিকরা যৌথ সমন্বয়ে সেখানেই বিরিয়ানি ও গোশত রান্নার ব্যবস্থা করে। আগেরদিন সেখানে গোশতসহ ঈদ সামগ্রী পাঠানো হয়েছিল। এর দুদিন আগে মাদ্রাসার ১৪জন এতিম শিশুসহ ১৭জনকে ঈদ উপহার ও ইফতারে রান্না করা খাবার দিয়েছিলেন সাংবাদিকরা।

ঈদের দিন এতিমখানায় ৩৯জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক ছিলেন। এরমধ্যে ২৫জন এতিম রয়েছে এবং ১৪জনের একমাত্র ঠিকানা এই শিশুসদন। যাদের কারও বাবা নেই, কারও মা নেই। তারা এতিমখানাতেই ঈদ উদযাপন করে।

দুপুরে এতিমদের সঙ্গে সময় কাটান সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া। সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী রাসেল মাহমুদ, এমদাদুল হক, আব্দুল মান্নান, শ্রমিকলীগ নেতা ফারুক হোসেন ও আজমীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বর্শন নূরানী শিশুসদন ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক হাফেজ মোছাদ্দিক আলী, হাফেজ ফিরোজ হোসেন। এদিন বিকেলে এতিমদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেন থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম।

নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. বকুল হোসেন বলেন, এতিমদের ঈদ উপহার ও রোজায় ইফতারে রান্না করা খাবার দিয়েছিল সাংবাদিকরা। ঈদের দিন তারা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে এতিমদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। প্রতিবছর মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদ আনন্দ আসে আবার চলে যায়। ঈদ আনন্দকে নিজ নিজ আঙ্গিনায় আবদ্ধ করতে প্রত্যেকেই ব্যস্ত। এই সমাজে এতিমদের ঈদ আনন্দ অনেকটা সাদামাটা। এরমাঝেই ঈদের দিন অনিন্দ্যসুন্দর অনুভূতি ও এতিমদের মুখে অকৃত্রিম সুন্দর হাসি ফুটেছে।