• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

আর একটা একুশের জন্য…


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০১৮, ১:১৪ PM / ৩৭
আর একটা একুশের জন্য…

মারিয়া আজাদ
———————————————– 
আজ আমার কাব্য শিশুরা এলোমেলো
বড্ড এলোমেলো,
ছন্নছাড়া আমার অ-আ-ক-খ বর্ণমালারাও –
অক্ষরের মহামিলনে
শব্দ থেকে বাক্য-বাক্য থেকে কাব্য
হয়ে ওঠেনা কোন মতে।
যে দিকে কান পাতি,কানে বাজে কেবলি তাদের মর্মভেদি আত্মচিৎকার।
অবোধ প্রাণে আজো জেগে আছে তাদের
সহস্র বুলেট বোমার অজস্র ক্ষত!
নিঃপ্রাণদের অবশিষ্ট প্রাণেও গুমরে মরে হাহাকার!
কেন কাঁদে ওরা আজো?
কেন আজো থামেনি সেই রক্তক্ষরণ?
এই যদি হওয়ার ছিল তবে কেন,
কেন অকালে হারালো এত প্রাণ?
ঘরে ঘরে কেন মায়ের বিলাপ,
কেন ঝরে গেল-
রফিক শফিক ছালাম বরকত নামের হাজারো উদীয়মান নক্ষত্র?
তবে কি লাভ হলো ওদের এ আত্মত্যাগের?
আজো যে বাঙালীর মুখে বাংলা দূর্ভেদ্য
ভালোবাসায়-কৃতজ্ঞতায় বাংলা আজো বড্ড বেমানান—
মা’কেও যে আজো মা ডেকে তৃপ্তি মেলেনা লোকের।
তবে কি দরকার ছিলো-
কি দরকার ছিলো এত তাজা প্রাণের আহুতি দেবার?
কি পেলো আমার সন্তান হারা মা?
প্রশ্ন জাতির বিবেকের কাছে–
আছে কি কোন জবাব?
বলো-বলে দাও একটি বার-
আর ক’টা প্রাণের কোরবানি পেলে তুমি দেবে
আমার শব্দ শিশুদের প্রাপ্য অধিকার?
বলতে দেবে ওদের প্রাণ খুলে কথা—
চপল প্রাণে বলতে দেবে ওদের—
মা-মা’গো- আমি তোমায় ভালোবাসি!
খিলখিলিয়ে ভরাবে আমার কবিতার খাতা
আবারো-ওদের মিষ্টি মধুর হাঁসি—

যদি বলতে পারো,
তবে আমিও ডাকব আর একটা একুশ
নিজে হাতে খুলে দেব আঁচলে সব কটা বাঁধন
ঠেলে দেব আমার কাব্য শিশুদের আবারো রাজ পথে–
কচি প্রাণের তাজা রক্তে আবারো একবার ভেজাতে রাজ পথ।
@
সত্যিই বলছি-আমি কাঁদবনা-এক দম কাঁদবনা
ফেলব না এক ফোটাও চোখের জল।
শুধু একবার-শুধু একটিবার
শেষ বারের মতো নিশ্চয়তা দাও আমায়–
আমার নতুন প্রজন্মে নবজন্মা কাব্য শিশুদের ঠোঁটে তুলে দেবে–
প্রিয় বাংলা বর্ণমালার এক একটা বর্ণ।
বাংলা মা’কে দেবে খোকা বলে বুকে জড়াবার অবাধ স্বাধীনতা।