• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন

আটক ভারতীয় গরু সিন্ডিকেটে নামমাত্র নিলাম : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, গরুর হিসেবে গরমিল


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৯, ২০১৮, ১২:২২ AM / ৩৩
আটক ভারতীয় গরু সিন্ডিকেটে নামমাত্র নিলাম : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, গরুর হিসেবে গরমিল

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসা ভারতীয় গরু বিজিবি আটকের পর সরকারি নিয়মে নিলাম না করে গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ভুরুঙ্গামারী শুল্কগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাতানো নিলামে কমদামে গরু বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে এখান থেকে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বিভিন্ন সীমান্ত পথে করিডোর বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি। এরপরও চোরাকারবারিরা উপজেলার ধলডাঙ্গা, ময়দান, শালঝোড়, বহলকুড়ি সীমান্ত দিয়ে শতশত ভারতীয় গরু অবৈধভাবে পাচার করে বাংলাদেশে আনছে। সারাবছর গরু আসলেও ঈদকে সামনে রেখে চোরাকারবারিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক গরু আনার চেস্টা করছে। এদিকে বিজিবির সীমান্তে টহলদল প্রায়ই এসব অবৈধ ভারতীয় গরু আটক করছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ৯টি গরু নিলাম দেয়া হয় দিয়াডাঙ্গা কোম্পানি সদরের সামনে। যার সিজার মূল্য ধরা হয় ৫ লাখ ২০ হাজার। নিলাম হয় দুই লাখ ৬০ হাজার দুইশ ৯৫ টাকায়। গরুর ক্রেতা ছিলেন পফিকুল ইসলাম। কিন্তু ব্যবসায়ীরা জানান, এ গরুগুলোর মূল্য অনেক বেশি ছিল এবং বেশি দামে নিলাম করা যেত। কিন্তু উপস্থিত একটি সিন্ডিকেট কমদামে নিলাম দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেয়। বিজিবি সেখান থেকে গরু প্রতি টাকা নেয়।
গত ৬ এপ্্িরল সোমবার সকাল ১১টায় সরকারি নিলাম নিয়ম না মেনে প্রচারণা ও জামানত ছাড়াই দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে সিন্ডিকেট নিলামে ১৯টি গরুর মধ্যে ৯ টি বড় গরু দুই লাখ ৬০হাজার ২শ ৯৫ টাকায় সিন্ডিকেট নিলামে বিক্রি করা হয় শিলখুড়ির ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আলতাফ হোসেন বিএসসির কাছে। আলতাব হোসেন ওই স্থানে হানিফ নামের গরু ব্যবসায়ীর কাছে গরু নয়টি বিক্রি করেন চার লাখ ৫২হাজার টাকায়। অথচ শুল্ক কর্মকর্তা ও বিজিবি ইচ্ছে করলে এ দামে গরুগুলো নিলাম করতে পারতো। সরকারের রাজস্ব বাড়তো। কিন্তু সিন্ডিকেট নিলামের কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিলামের বাইরে সুবিধা আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা জানান, ওইদিন ২৩টি গরু আটক করে বিজিবি। কিন্তু শুল্কগুদামে জমা করা হয় ১৯টি। বাকি চারটি গরুর হিসেব নেই। প্রায় এরকম ঘটনা ঘটে জানান অনেকে।
গত ৫ আগষ্ট বিকেলে ধলডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে সাতটি মাঝারী ধরণের গরু নিলামে ভ্যাটসহ ৩ লাখ ১১ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। এর আগে ৩ আগষ্ট বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পে ছয়টি বড় গরু নিলামে বিক্রি করা হয় মাত্র এক লাখ ২৭ হাজার টাকায়। এর আগে গত কয়েক দিনে বাগভান্ডার, দিয়াডাঙ্গা ও ধলডাঙ্গার বিজিবি মোট ৩৪টি গরু আটক করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা। সিন্ডিকেটে অনেক বম দামে এসব গরু নিলাম করা হয়েছে। যাতে সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত সুবিধা নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে জয়মনির হাট কাস্টমস শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা নিহার রঞ্জনের বারুরী বলেন, আজকের নিলামে আমি ছিলাম না আমাদের সুপার ছিল। নিয়ম অনুযায়ী নিলাম করা হয়। সুপার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা অফেন নিলাম দেই। যে বেশি মূল্য দেয় তাকে দেয়া হয়। দিয়াডাঙ্গা বিজিবি কোম্পানী সদরের কমান্ডার সুবেদার মনচুর আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:০৮এএম/৯/৮/২০১৮ইং)