• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের দাবি মির্জা ফখরুলের


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭, ৬:৫৮ PM / ৩৯
অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের দাবি মির্জা ফখরুলের

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটা অমানবিক। আমরা মনে করি মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যে হত্যা-নির্যাতন চালাচ্ছে এটা গণহত্যার সামিল। মিয়ানমার সরকারের উচিত অবিলম্বে এ হত্যা-নির্যাতন বন্ধ করা এবং যারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে চলে এসেছেন তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে একেবারে অসহায় নিরাপরাধ যাদের হত্যা করা হচ্ছে তাদের আশ্রয় দেওয়া।’

বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শুক্রবার সকালে শ্রদ্ধা জানানোর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন অঘোষিত একদলীয় শাসনে দেশ পরিচালনা করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) এখন মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। গুম-খুন হত্যার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন মতকে ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি, জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে জিয়াউর রহমানের অবদান অসীম। জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজ আবারও এক স্বৈরচারী অনৈতিক অবৈধ সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপর চেপে বসেছে।’
বিএনপির সব অর্জন আওয়ামী লীগ ও এরশাদের সামরিক সরকার সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি প্রতিটি অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। লড়াই করেছে ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধেও। আর এখন লড়াই করছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা অগণতান্ত্রিক ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। আমি বিশ্বাস করি বিএনপির নেতৃত্বেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তাই আজকের এ দিনে দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতাকর্মীরা শপথ নিয়েছে- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই সংগ্রাম অব্যবাহত থাকবে।’
দেশ গঠন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সাহস থাকতে হয় আর সেই সাহস ও চ্যালেঞ্জ বিএনপির নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা তো উনি বলতেই পারেন। উনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলা আমি সমুচিত মনে করি না। সাহস আছে কী নেই সেটা দেশের জনগণ দেখেছে। বিগত লড়াই সংগ্রামে বিএনপির এক হাজার নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পাঁচশ’ অধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচি আমানুর রহমানকে গুম করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুম-খুন-হত্যা, ত্রাস সৃষ্টি, মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকে দাবিয়ে রেখে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু রক্তে অর্জিত গণতন্ত্র জনগণ ফিরিয়ে আনবেই।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক এম এ মান্নান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছা সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আবুল বাশার, জেবা খান, এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু প্রমুখ।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৬:৫৮পিএম/১/৯/২০১৭ইং)