• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

অর্থ সংগ্রহের সুযোগ বাড়ল বহুজাতিক কোম্পানির


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ১:০১ PM / ৩২
অর্থ সংগ্রহের সুযোগ বাড়ল বহুজাতিক কোম্পানির

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে বন্ড ছেড়ে সাধারণ নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। এ ছাড়া কমার্শিয়াল পেপার ছেড়েও এসব উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের সুযোগ আরও বাড়ল। এর আগে শুধু ব্যাংকগুলো বন্ড ও কমার্শিয়াল পেপারে অংশ নিতে পারত। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭-এর ১৮(২) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশে অবস্থানরত কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ বা বিশেষ অনুমোদন ছাড়া বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারে না। তবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারে। নব্বইয়ের দশক থেকে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি মূলধন হিসেবে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এরপরে ২০০৫ সাল থেকে মেয়াদি ঋণ নেওয়ারও অনুমোদন দেওয়া হয় এসব প্রতিষ্ঠানকে। সম্প্রতি কমার্শিয়াল পেপার ইস্যুর মাধ্যমে নিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। এখন এই সুযোগ আরও কিছুটা বাড়িয়ে বন্ড ছেড়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিয়ে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশি মুদ্রায় ইস্যু করা বন্ড দেশে বসবাসকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিনতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আসার পর অর্থসংকটে ভোগে। দেশে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেশি হওয়ায় তারা সুবিধা করতে পারে না। এ কারণে কমার্শিয়াল পেপার ও বন্ড ছেড়ে সাধারণ জনগণ ও প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া হলো।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০১.০২ পিএম/১৩//২০১৭ইং)