• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

২৫০০ লোকের জন্য ডাক্তার ১জন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০১৯, ১২:৩৬ PM / ৪১
২৫০০ লোকের জন্য ডাক্তার ১জন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ১০ হাজার লোকের জন্য ১২ জন ডাক্তার থাকা দরকার। আমাদের আছে মাত্র ৪ জন। হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার সংকট কাটানোর জন্য ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মার্চের মধ্যে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে। বিষয়টি এখন পিএসসিতে আছে। এই ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ সম্পন্ন হলে ডাক্তারের সমস্যা আর থাকবে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের শাহে আলমের (বরিশাল-২) ও জাপার সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিকের (শেরপুর-১) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয়ে যাতে দুর্নীতি না হয়, চেষ্টা করবো

বিরোধী দলের সদস্য ফখরুল ইমামের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারের একটি বিশাল মন্ত্রণালয়। বিশাল কর্মযজ্ঞে কিছু ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিল ডাক্তারদের উপস্থিতি দেখার জন্য। যদি কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন, এটাও এক ধরনের দুর্নীতি। এ বিষয়ে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। নিজস্ব নীতিমালার মধ্যে থেকে এটা আমরা দেখবো। তবে মন্ত্রণালয়ে যাতে দুর্নীতি না হয়, সে ব্যাপারে অবশ্যই চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালে ডাক্তার না থাকার যে অভিযোগ রয়েছে তা কাটিয়ে উঠে সার্বক্ষণিক যাতে ডাক্তার থাকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৬ জন করে ডাক্তার দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভাগীয় অফিসগুলোতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

এসময় মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের মাধ্যমে মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর হয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কাজের মাধ্যমে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মান অর্জন করতে সক্ষম হয়নি

দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করার জন্য সরকার প্রতি জেলায় অন্তত: ১টি মেডিকেল কলেজ এবং প্রতি বিভাগে ১টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে প্রতি বছর ৪০৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা সম্ভব যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এছাড়া সরকার মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকের কলেজ অনুমোদন দিয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৭৫টি মেডিকেল কলেজ (সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ৬টি সগ) রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ মান অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। সে কারণে মন্ত্রনালয়ের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে নির্ধারিত মান অর্জনে ব্যর্থ মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম ইতোমধ্যই করা হয়েছে।

৪৩ জেলা আর্সেনিক রোগি ১৮ হাজার ৮৬২ জন

মশিউর রহমান রাঙ্গার লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০১২ সালের পর খানাতল্লাসির মাধ্যমে আর্সেনিক রোগি নির্ণয়ের কোন কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। ফলে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য যা যাছে তা ২০১২ সালের হিসাব। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ৪৩টি জেলার অন্তর্গত উপজেলা সমূহের আর্সেনিক রোগির রেজিস্ট্রার হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী মোট রোগি ১৮ হাজার ৮৬২ জন।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:৩৬পিএম/১৫/২/২০১৯ইং)