• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

সাড়ে ৩’শ বছরের নয়াবাদ মসজিদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৮, ২০১৭, ৮:০১ PM / ৩২
সাড়ে ৩’শ বছরের নয়াবাদ মসজিদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

প্রত্মতাত্ত্বিক বিভাগের উদাসীনতা আর স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণে প্রায় সাড়ে ৩’শ বছরের পুরাতন দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত নয়াবাদ মসজিদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সংস্কারের অভাবে খুলে পড়ছে   মসজিদের করুকার্য, গম্বুজ মিনার, মেহেরাফ।

মসজিদ প্রাঙ্গণে কোন সীমানা প্রচীর না থাকায় অবাদে প্রবেশ করছে হাঁস, মুরগী ও গরু-ছাগল। এতে নষ্ট হচ্ছে মসজিদের পবিত্রতা। এ নিয়ে নয়াবাদ গ্রামের অধিবাসীরা মসজিদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

নয়াবাদ মসজিদ নিমার্ণ হয় সম্রাট দ্বিতীয় শাহ’র আমলে ১৭শত খ্রিষ্টাব্দের মধ্যভাগে। ১২.৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থ। মসজিদের সামনে রয়েছে প্রশন্ত বারান্দা। ৩ গম্বুজ ও ৪ মিনার বিশিষ্ট্য এই মসজিদটি অত্যন্ত সুরম্য দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু ঐতিহাসিক এই মসজিদ শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে চলেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁয়ে পানি পড়ে, বাতাসে মিনারগুলো দুলতে থাকে মসজিদের গায়ে পোড়ামাটির ১০৪ টি আয়তাকার ভাস্কর কারুকার্য রয়েছে যা সংস্কারের অভাবে খুলে খুলে পড়ছে। দেয়ালে শ্যাওলা জমে ধারণ করেছে বিবর্ণরূপ। সীমানা প্রাচীর না থাকায় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী এখানে অবাদে বিচরণ করছে।

মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মওলানা আব্দুল মান্নান জানান, মসজিদটি যেকোন সময় ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে ভেতরে নামাজ আদায় করা যাচ্ছে না। তাই আবহাওয়া খারাপ হলে আমরা বাইরে বারান্দায় নামাজ আদায় করি।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ঢেপা নদীর তীরবর্তী নয়বাদ গ্রামে অবস্থিত এই নয়াবাদ মসজিদে একসময় বিদেশী বণিকরা রাত্রিযাপন ও নামাজ আদায় করতেন। সে সময় পার্শ্ববর্তী নদী দিয়ে বণিকরা যাওয়ার সময় এই মসজিদে বিশ্রাম নিতেন। এই মসজিদটি সরাসরি প্রত্মতাত্ত্বিক বিভাগের তত্ত্বাবধানে তাই স্থানীয়ভাবে সংস্কার করার ইখতিয়ার নাই। মসজিদটি সংস্কার এবং এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে দিনাজপুরবাসী।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০৮.০০পিএম/১৮//২০১৭ইং)