• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

যোগ্যদের সম্মান ফিরিয়ে দিন, নাহয় রাস্ট্র ক্ষমা করলেও জাতি ক্ষমা করবে না


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ১১:০৩ AM / ৭৫
যোগ্যদের সম্মান ফিরিয়ে দিন, নাহয় রাস্ট্র ক্ষমা করলেও জাতি ক্ষমা করবে না

বদরুল হক : পিতা বা অভিভাবক অথবা কর্তা-ব্যক্তি যখন অযোগ্য অবিবেচক উম্মাদ পাগল নতুবা প্রতিবন্ধী প্রকৃতির হয় তেমন অভিভাবক না হলে কি নয়? আমি এই বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে বারবার লিখতে চেয়েছিলাম! কিন্তু লিখে কি লাভ? সেজন্য লিখিনি এতোদিন!

ক্রিকেটে পাপন সাহেব, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার সুমন ও ফুটবলে জনাব সালাউদ্দিন, রাসেল সাহেব সহ মোটাসোটা অন্যান্য কর্তাব্যক্তিদের স্বপ্ন-সম্ভাবনার গল্প শুনলে আমি বরাবরই বিরক্ত হই! নারী ফুটবল নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও ক্রিকেটাঙ্গনের কিছু কথা না লিখলেই নয়! ডমিঙ্গোর লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা আমাদের ক্রিকেটের পঞ্চপান্ডব থেকে একে-একে মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম অবশেষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে অবিবেচকের মতো কেটে বা ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া কখনোই আমার কাছে ক্রিকেটীয় বোধ সম্পর্কিত আচরণ বলে মনে হয়নি! এই বিষয়ে পাপন সাহেব মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বা খালেদ মাহমুদ সুজনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও অবশেষে প্রাপ্ত ফলাফল জাতিকে হতাশ করেছে!

ফুটবল ও ক্রিকেট প্রেমীদের আবেগের সাথে তারা বারবার প্রতারণা করেছে! খেলাধুলা এমন একটি বিষয় যেখানে অভিজ্ঞতা বিশাল গুরুত্ব বহন করে। সেখানে তারুণ্যনির্ভর ক্রিকেট দল গঠন করা এবং তা করতে গিয়ে অভিজ্ঞদের হুটহাট নির্মূল করার প্রক্রিয়া ও বেলা শেষে চরম হতাশাজনক ফলাফল আমাদেরকে ব্যথিত করেছে! বারবার মনে হয়েছে আমরা কি তবে বিড়াল দিয়ে হাল চাষ করানোর চেষ্টা করছি? বিশেষ করে সিলেক্টর প্যানেলকে পাগল বা উন্মাদ বলে মনে হয়েছে কখনও কখনও।

আমি এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দল সঠিকভাবে এখনো অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে সাজানো গেলে আসছে টি-২০ বিশ্বকাপে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়ে দেয়া সম্ভব! আমরা পারি, আমরা পেরেছি এবং তা প্রমাণ করেছি বারংবার!

তবে সবার আগে প্রথমত যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছিলাম আমাদের নীতিনির্ধারক প্যানেল চূড়ান্তভাবে ঢেলে সাজানো দরকার! ক্রিকেটীয় প্রেমবোধ ও জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ দিয়ে ক্রিকেট এবং ফুটবলে ছোটনদের মতো অভিজ্ঞ বিচক্ষণ নেতার হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে! সেখানে অযাচিত মাতবরি খবরদারি বন্ধ করতে হবে।

আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে সকল বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা অযোগ্য অদক্ষ এবং অথর্ব! বারবার তা প্রমাণিত হলেও উনারা থেকে গেছেন বহাল তবিয়তে।

নারী ফুটবলে সাফল্যের পিছনে পরিশ্রম করলেন ছোটন সাহেব, লড়াই করলো আমাদের বাংলার মেয়েরা, আর উনারা এসি রুমে বসে বসে রাষ্ট্রের টাকা পকেটে ভরলেন আর সময়-সুযোগমতো প্রেস কনফারেন্স করে বাহবা কুড়ানোর অপচেষ্টা করে গেলেন! আর মুর্খের মতো পিছনে দাঁড় করিয়ে রাখলেন সাফল্যের অগ্রনায়কদের!

অনেক সময় দেহে দুরারোগ্য বা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে শরীরের অনেক অঙ্গ কেটে ফেলে দিতে হয়! সুতরাং ফুটবল ফেডারেশনের প্রেস কনফারেন্সে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য হয় ফুটবল বোর্ডের অঙ্গ থেকে ময়লা আবর্জনাগুলো ঝাঁটা-পিটা করে ঝেড়ে ফেলুন! অথবা দুরারোগ্য ব্যাধি মনে হলে অঙ্গ কেটে ফেলুন, হোক তা মাথা, গর্দান পর্যন্ত কেটে ফেলুন।

সর্বোপরি পালের গোদা সালাউদ্দিন সাহেবকে জাতির কাছে বিশেষ করে ছোটন সাহেবের কাছে করজোড় ক্ষমা প্রার্থনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন!

পাপন বা সালাউদ্দিন সাহেব উনারা কিছুই দিতে পারেনি। দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা, শাকিব আল হাসান অথবা সালমা খাতুন বা মারিয়া মান্না ঋতুপর্ণা চাকমার মতো দেশ প্রেমে উজ্জীবিত যোদ্ধারা। সবার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও ভালোবাসা।

যোগ্যতা মাফিক সম্মান ফিরিয়ে দিন নতুবা রাস্ট্র ক্ষমা করলেও জাতি তাদেরকে ক্ষমা করবে না!

লেখক : সমাজকর্মী