• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

যা থাকছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ড্যান্সিং ফাউন্টেন অ্যাম্পিথিয়েটারে


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৪, ২০১৭, ৮:২২ AM / ৩৬
যা থাকছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ড্যান্সিং ফাউন্টেন অ্যাম্পিথিয়েটারে

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন ও অ্যাম্পিথিয়েটার বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এ দুটি নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত চিত্তবিনোদনমূলক স্থাপনার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের চিত্তবিনোদনের সুযোগ এমনিতেই কম। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অবিরাম ছুটে চলা মানুষগুলোর জন্য এ দুটি স্থাপনা কিছুটা হলেও বিনোদনের খোরাক যোগাবে।

নগরবাসীর অনেকেই কবে নাগাদ ফাউন্টেনটি চালু হবে তা জানতে আগ্রহভরে অপেক্ষা করছিলেন। অনেকেই জানতে চেয়েছেন ফাউন্টেন ও অ্যাম্পিথিয়েটারে কী কী সুবিধা থাকছে।

হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাইদ মো. মাসুদ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, হাতিরঝিলে পানির মাঝে ভাসমান ডিজিটাল ড্যান্সিং ফাউন্টেনটির ব্যাপ্তি ২১ হাজার ৩শ’ ১২ বর্গফুট। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফাউন্টেন। তিনটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি পরিচালিত হবে।

১৪৪টি প্রেসার কন্ট্রোল সাবমার্সিবল পাম্পের মাধ্যমে ৪শ’ ৮৮টি নজেল বিভিন্ন উচ্চতায় নিক্ষিপ্ত হয়। সর্বোচ্চ ২৬৫ উঁচু পর্যন্ত পানি উঠবে। অত্যাধুনিক কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোট ৮০০টি এলইডি লাইট ও প্রজেক্টারের মাধ্যমে ফোয়ারার পানিতে আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণের দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছ্বটা ও ত্রিমাত্রিক নকশা ফুটিয়ে তোলা হবে। এই বর্ণিল ফোয়ারার সঙ্গে সময় নিয়ন্ত্রিত সাউন্ড ওয়েভ ও মিউজিক্যাল ট্র্যাক সমন্বয় করে দৃষ্টিমোহিত সুরমূর্ছনা তৈরি হবে।

অপরদিকে গ্রিক ও রোমান সভ্যতা থেকে আত্মীকৃত স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য ও আধুনিক রূপ হলো অ্যাম্পিথিয়েটার। এখানে রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি নগরবাসীর সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটাতে উন্মুক্ত মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

মেজর জেনারেল আবু সাইদ জানান, ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই বছরে এই অ্যাম্পিথিয়েটারটি নির্মিত হয়েছে। এটি মোট তিনটি গ্যালারি থাকছে। মাঝখানে ৬ হাজার ৬শ’ ৬ বর্গফুট আয়তনের কংক্রিটে নির্মিত বৃত্তাকার স্টেজ রয়েছে।

দুই হাজার দর্শক একত্রে বসে এখানে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। স্টিলের নির্মিত অবকাঠামোটি দেখতে পানির ওপর পাপড়ি মেলে থাকা ফুলের মতো দেখাবে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০৮.২০ এএম/১৪//২০১৭ইং)