• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

মেয়াদ উত্তীর্ন ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের অত্যাচার, চাঁদাবাজিতে ক্ষুদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০১৮, ৩:৫৪ PM / ৫৯
মেয়াদ উত্তীর্ন ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের অত্যাচার, চাঁদাবাজিতে ক্ষুদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক :কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপকের্মর অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার অত্যাচারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ছয় মাস আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওই নেতা আরো বেপরোয়া তৎপরতার কারনে ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্যরা এক যোগে পদত্যাগ করবে-এমন গুঞ্জন চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। দ্রুত মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি ভেঙ্গে দেয়ারও দাবি করছে তারা।


সম্প্রতি ভিসির যোগদান অনুষ্ঠান বয়কট এবং শিক্ষকদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে শিক্ষকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক জোটবদ্ধ হয়ে এক যোগে পদত্যাগের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে-এমন আলোচনাও শোনা যাচ্ছে। ইবি ছাত্রলীগের এক সদস্য জানান,  ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। ছয় মাস আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন কমিটি করা হচ্ছে না। এদিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দলের সভাপতি ও সম্পাদকের নানা অপকর্ম, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির মাত্রা বেড়ে গেছে।

ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্যরা জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে আমরা অতিষ্ঠ। পুলিশের হাতে মাদকসহ আটক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা। এতে ঐতিহ্যবাহি সংগঠন ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সংগঠন বিকিয়ে বার বার অপরাধ করলেও কেন্দ্রীয় নেতারা সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংগঠনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ন ইবি ছাত্রলীগের নানা অপকর্ম জানার পরও ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা ক্যম্পাস বিমুখ হয়ে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী অনেক কমে যাবে। এমনকি সংগঠন ধ্বংসের মুখে পড়বে-এমন কথা জানান অনেকেই। এক্ষেত্রে সংগঠনকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ছাত্রলীগের সাধারণ কমীরা।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, গত বছর ৬ এপ্রিল ৮ম সম্মেলনের মাধ্যমে ১৫ এপ্রিল বাংলা বিভাগের ছাত্র শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা হালীমকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ইবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ আছে সভাপতি সম্পাদক দলের পুর্নাঙ্গ কমিটি না করে, দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগি নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নেতা একক রাজত্ব কায়েম শুরু করে।

ইবি ছাত্রলীগের এক ত্যাগি নেতা জানান, কমিটির মেয়াদ এক বছর ছয় মাস পূর্ণ হলেও সভাপতি, সম্পাদক ছাড়া কোন নেতাকর্মী নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদপদবী না পেয়ে সিনিয়র জুনিয়র সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই ছাত্রলীগ বিমুখ হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ১০-এর (খ) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মেয়াদ শেষে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই নুতুন নেতার হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন না হলে কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংসদ আহবায়ক বা এডহক কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মলন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি যেকোন সময় ভালো খবর পাবেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৩:৫০পিএম/২২/১০/২০১৮ইং)