• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

ভারতের ৩ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাকড!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০১৮, ১০:০৮ PM / ৪১
ভারতের ৩ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাকড!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট শুক্রবার হ্যাক হয়ে যাওয়ার পর, দেশটির আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও সন্ধ্যায় একই সময়ে অচল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এই দুটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে সন্দেহ করা হলেও, এক ঊর্ধ্বতন সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেছেন, হার্ডওয়ার বা যন্ত্রাংশের ত্রুটির জন্য সাইট দুটি অচল হয়ে গেছে।

শুক্রবার প্রথমে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যায়। সাইটটির হোম পেজে কিছু চীনা হরফ এবং তার নিচে একটি এরর মেসেজ দেখা যচ্ছিল। সাইটে প্রদর্শিত চীনা হরফ দিয়ে ‘যথাসময়ের পূর্বে নয়’ বুঝানো হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত বার্তায় বলা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই সাইটটি এখন বন্ধ আছে। অনুগ্রহ করে পরে আবার চেষ্টা করুন। সহানুভূতিশীল আচরণের জন্য ধন্যবাদ।

প্রথমে এটিকে হ্যাকিং মনে করা হলেও, সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তা নাকচ করে দেন।

সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা গুলশান রাই বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হ্যাকিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যন্ত্রাংশের সমস্যার কারণে ওয়েবসাইট অচল রয়েছে। এটা শিগগিরই চালু করা হবে।’

নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সমস্যার কারণে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও অচল রয়েছে এবং সেগুলোও দ্রুত সচল করা হবে’, যোগ করেন তিনি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়টির সন্দেহ ছিল পাকিস্তান ও চীনের এয়ার ফোর্সের যুগপৎ হুমকির সামাল দিতে ভারতীয় এয়ার ফোর্স বিশেষভাবে প্রণীত সর্ববৃহৎ যুদ্ধকৌশল হাতে রাখার ঘোষণার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে।

একই সঙ্গে এই যান্ত্রিক সমস্যা যেদিন দেখা গেল, সেদিন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরই আরেকটি অংশে ১০০ নতুন যুদ্ধ বিমানের তথ্য চেয়ে আবেদন বা রিকোয়েস্ট ফোর ইনফরমেশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। বিমান ক্রয়ের এই প্রক্রিয়ায় প্রায় এক লাখ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারামান জানান, ওয়েবসাইটটি দ্রুত আবার চালু করা হবে।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এটা দ্রুত আবার চালু করা হবে।’

ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের সব সরকারি ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় ওয়েবসাইট মাঝেমধ্যেই হ্যাক হয়ে যাওয়ার জন্য ইন্টারনেটে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করাকে দায়ী করেছেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:০৪পিএম/৬/৪/২০১৮ইং)