• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

বেপরোয়া চালকদের শাসন করতে পুতুল পুলিশ মোতায়েন


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ১১:২৫ AM / ৩৫
বেপরোয়া চালকদের শাসন করতে পুতুল পুলিশ মোতায়েন

মাথায় পুলিশ ক্যাপ। গায়ে সাদা শার্ট আর পরনে খাকি প্যান্ট। চোখে সাদা সানগ্লাসও। পুরোদস্তুর ট্রাফিক পুলিশ। ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকের আইটি শহর বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে জনাকীর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়ানো।
কিন্তু কোনো নড়াচড়া নেই। থাকবে কী করে, এগুলো তো আসলে পুতুল। শহরের ভয়াবহ জ্যাম ও বেপরোয়া চালকদের শাসন করতে এই পুতুল পুলিশ মোতায়েন। কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, চালকরা তাদের আসল পুলিশ বলে মনে করবে এবং ট্রাফিক আইন ভাঙতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে। খবর বিবিসির।
বেঙ্গালুরুতে বর্তমানে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৮০ লাখ। ২০২২ সালের মধ্যে এ সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশাল সংখ্যক এই গাড়ি সকালে যখন শহরের রাস্তায় নামে, গাড়ির চাকা আর চলতে চায় না।

লেগে যায় সীমাহীন জ্যাম। মুভিনসিঙ্ক টেকলোজোরি সলুশন নামে এক ট্রাফিক জরিপবিষয়ক সংস্থার মতে, শহরে ঘণ্টায় গাড়ির গড় গতি ১৮.৭ কিলোমিটার। জ্যামের দিক দিয়ে সারা ভারতে দ্বিতীয়। ঘণ্টায় ১৮.৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে প্রথম স্থানে আছে মুম্বাই শহর।

ভয়াবহ জ্যামের সঙ্গে সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে আছে চালকদের ব্যাপক ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা। মোড়ে মোড়ে বসানো ক্যামেরায় ধরা পড়া এমন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রতিদিন ২০ হাজারের অধিকা। ফলে বাধ্য হয়ে অত্যধিক জ্যামবিশিষ্ট রাস্তাগুলোর মোড়ে মোড়ে পুতুল পুলিশ বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের তুলনায় এগুলো আসলেই কার্যকর কিনা সে ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে পথচারীরা। কেউ মনে করছে, এটা কার্যকর। যেমন কলেজ ছাত্র গৌতম টি বলছেন, এগুলো দেখতে বেশ ভালো। আসল পুলিশের মতোই দেখতে। তবে ভালো করে খেয়াল করলে তবেই বোঝা যায়। গৌতম ও তার কলেজের বন্ধু তালহা ফজল মঙ্গলবার কালেজ যাওয়ার পথে পুতুল পুলিশের সঙ্গে একটি সেলফিও নিয়ে নেন।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:২৪এএম/১১/১২/২০১৯ইং)