• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

বেড়িবাঁধ নির্মাণে সুফল পাচ্ছে কটিয়াদীর কৃষক সমাজ 


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৩, ১১:৩৯ PM / ১৭০
বেড়িবাঁধ নির্মাণে সুফল পাচ্ছে কটিয়াদীর কৃষক সমাজ 

রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বড় হাওরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি বেড়িবাধেঁর। একসময় অরক্ষিত এই হাওরে উজান থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি এবং অসময়ে বন্যার ফলে তলিয়ে যেত জমির ফসল। ফলে কৃষকের সমস্যার কোন অন্ত ছিল না। এলাকাবাসী ও কৃষকদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে তা সমাধানের জন্য কিশোরগঞ্জ – ২ (কটিয়াদী -পাকুন্দিয়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য জনাব নুর মোহাম্মদ ফসল রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেন । জানা যায় হাওরের ফসল রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ও অর্থায়নে নির্মিত প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফসল রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। যা নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। করগাঁও দলুয়াতলা ব্রিজ থেকে ধুলদিয়া শিমুলতলা গ্রাম পর্যন্ত নব নির্মিত এই বাঁধটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। সম্প্রতি এই বাঁধটি নির্মাণ করার ফলে প্রায় ১৫ টি গ্রামের কৃষকদের বোরো ধান অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। কারণ এই এলাকাটি এক ফসলের উপর নির্ভরশীল। প্রতিবছরই হাওরের পানিতে বোরো ধানের জমি তলিয়ে যেত। এতে করে হাজারো কৃষকের কপাল পুড়ত এবং সারা বছরই কৃষকরা অর্থকষ্টে ভুগতেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল, যে বড় হাওরে একটি বাঁধ নির্মাণ। যা এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য উদ্যোগ নিয়ে সরকারি খরচে এই বাঁধটি নির্মাণের ফলে এখন আর বোরো ধান তলিয়ে যাবার আশঙ্কা থাকবে না। ডাঙ্গের গাঁওয়ের কৃষক বোরহানউদ্দিন ও শিকদার হোসেন বলেন এই বাঁধ নির্মাণে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। তাছাড়া এই বাঁধে আমরা ধান কেটে শুকানো এবং মাড়াই সহ আনুষাঙ্গিক সমস্ত কিছুই এই বাঁধে করতে পারছি। তাছাড়া আমাদের যাতায়াত খরচও অনেক কমে গেছে। করগাঁও গ্রামের কৃষক আলামিন বলেন সংসদ সদস্য মহোদয়ের উদ্যোগে এই বাঁধটি নির্মিত হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এখন আর আমাদের কোন ফসল নষ্ট হবে না। সংসদ সদস্য জনাব
নূর মোহাম্মদএর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই বাঁধটি নির্মিত হওয়ায় আমরা ওনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। এবং তিনি যেন পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করতে পারেন আল্লাহর নিকট এই প্রার্থনাই করছি। করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা বলেন, এই হাওর নিয়ে আমাদের কষ্টের কোন সীমা ছিল না। আমাদের সংসদ সদস্য জনাব নূর মোহাম্মদের আন্তরিকতার জন্যই এই বাঁধটি নির্মিত হয়েছে, যা এলাকার বিপুল মানুষের উপকারে আসবে। কিশোরগঞ্জ – ২ (কটিয়াদী- পাকুন্দিয়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ জানান, এলাকার কৃষকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই বেরি বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। আবারো যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তবে দেশের অনেক উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা করেন।