• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

বিদায়ী ভাষনে যা বললেন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন


প্রকাশের সময় : মে ১৩, ২০১৮, ২:১২ PM / ৯২
বিদায়ী ভাষনে যা বললেন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন

মাহাবুব আলম শ্রাবণ (বিশেষ প্রতিনিধি) : অনুষ্ঠিত হলো উপমহাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখভালের মধ্যদিয়ে সম্মেলন সফল ভাবে শেষ করেছে ছাত্রলীগ।

২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব পান বর্তমান সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। দায়িত্ব গ্রহণের সাড়ে ৫ মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সোহাগ-জাকির। এরপর সারা দেশে ১১০টি সাংগঠনিক শাখার মধ্যে ৮০টি শাখার সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়াও ৩৫টি বিদেশ শাখার কমিটি গঠন করেছেন বর্তমান নেতৃত্ব। ২৯ তম সম্মেলনের মাধ্যমে বিদায় নেন এই শীর্ষ নেতারা।

অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন তার বিদায়ী ভাষনে বলেন..:

আমি আনোয়ার হোসেন জীবন সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। ভারতীয় উপমহাদেশের সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাথে স্লোগান মাষ্টার হিসেবে দীর্ঘ সময় ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় সোহাগ- জাকির পরিষদে আমাকে সহ-সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেন।
আমি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সাফল্যমণ্ডিতভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছি। বিভাগীয় জেলা রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে পিতা মুজিবের আদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কাজ করেছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নকাজ ও মিশন ভিশন নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম সম্মেলনে শৃঙ্খলা উপ-কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে সফলভাবে আজকের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। সবশেষে বলতে চাই  আমি সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। নেতৃত্বের মালিক উপরওয়ালা। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন কালে সংগঠনের প্রয়োজনে যদি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
তবে এতটুকু বলে শেষ করছি যে,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে কখনোই দেশ ও সংগঠন বিরোধী কোন কাজের সাথে জড়িত হইনি। কারো সাথেই আর্থিক কিংবা ব্যবসায়ীক কোন কাজের সাথে জড়িত হইনি। নিজের নেতৃত্ব,নেতার নাম বলে কিংবা সংগঠনের পরিচয়ে কোন স্থান থেকে কোন ধরনের সুবিধা গ্রহণ করিনি।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর নেত্রীত্বেই প্রকাশ করা হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এমনটি আশা পদ প্রত্যাশীদের।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/২:১২পিএম/১৩/৫/২০১৮ইং)