• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে রাস্তার মাটি খুঁড়ে ভোগান্তি, ৫ বছরেও দেখা মিলছে না ঠিকাদারের


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১১:৪৪ PM / ৮২
বাগেরহাটে রাস্তার মাটি খুঁড়ে ভোগান্তি, ৫ বছরেও দেখা মিলছে না ঠিকাদারের

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বহরবুনিয়ায় ৫ কিলোমিটারের একটি আর সি সি নতুন রাস্তা নির্মানের নামে মাটি খুঁড়ে বালি ফেলে জনভোগান্তি। ৫ বছরেও দেখা মিলছেনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারী। এলাকাবাসীর দাবি বরাদ্দকৃত রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি লাঘবের।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে কে ডি আর আই ডি পি খুলনা বিভাগীয় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বহরবুনিয়া ইউ পি হতে মাদ্রাসাবাজার অভিমুখী ৩২’শ মিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ হয়। এ সড়কের নির্মাণাধীন কাজটি খুলনার ঝর্না এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শুরু করে পুরাতন রাস্তার মাটি খুড়ে ফেলে রেখে দেয় বছরের পর বছর। পরবর্তীতে প্রকল্প সংশোধন করে সড়কের আয়তন কমিয়ে বয়ারসিংহ হয়ে গাজীরঘাট দাখিল মাদ্রাসা অভিমুখী ১৪শ’ মিটার আর সি সি ঢালাই ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২ কোটি টাকা বরাদ্দে প্রকল্পের পৌনে ২ কিলোমিটার রাস্তাটি একই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পান।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে সড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও শুধুমাত্র বালি ফেলে ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে তুলেছে। সীমান্তবর্তী ৩ ইউনিয়নের ৮ গ্রামের মানুষের চলাচলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ৪/৫ হাজার মানুষের চলাচলের জনভোগান্তি এখন চরমে। মাটি খোড়া বালি ফেলা এ রাস্তা থেকে ভ্যান মটর সাইকেল যাত্রী ও স্কুল মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন শিকার হতে হচ্ছে দুর্ঘটনার।

এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি থেকে উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলাসহ জিউধরা, পঞ্চকরণ বহরবুনিয়ার ইউনিয়নের পশ্চিম বহরবুনিয়া, উত্তর ফুলহাতা, নারিকেলবাড়ীয়া, গাজীরঘাট, দক্ষিন ফুলহাতা, গোলবুনিয়া মতি বাবুর খন্ড ও শনিরজোড় গ্রামসহ ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের মাধ্যম। এ রাস্তা পেড়িয়ে যেতে হচ্ছে ফুলহাতা বাজার, মাদ্রাসা বাজার, ছাপড়াখালী বাজার, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০ টি মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জাকির হোসেন খান, শিক্ষক মোঃ ফারুকুল ইসলাম, সেনা সদস্য আবুবকর সিদ্দিক সহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভের সাথে বলেন, বিগত ৪ বছরে মাটি খুড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আবার নতুন করে বালি ফেলে যানবাহন চলাচলে, শিশু শিক্ষাথীসহ বৃদ্ধদের দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে। ভান, মটরসাইকেল উল্টে খালে পড়ছে। এ দূর্ভোগের শেষ কোথায়? দেখভালের জন্য কর্তৃপক্ষ কি চোখ বুঝে রয়েছে?।

এ বিষয়ে বহরবুনিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিপন হোসেন তালুকদার বলেন, কাজটি শুরুর কিছুদিন পর জ্জ বছর ধরে বন্ধ ছিলো পুনরায় কাজটি শুরু করার আশ্বস্ত করেছেন উপজেলা এল জি ইডি দপ্তর। এলাকাবাসীর দূর্ভোগ অচিরেই লাঘব হবে।

এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ইতিপূর্বে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় তার টেন্ডার বাতিলের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে।