• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইরাক প্রবাসীর স্ত্রীর আবেগঘন খোলা চিঠি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২১, ২০১৯, ৮:৫৭ PM / ৯৪
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইরাক প্রবাসীর স্ত্রীর আবেগঘন খোলা চিঠি

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : সম্প্রতি ইরাকে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই প্রবাসীদের গ্রেফতারসহ নানা ধরনের পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। যারা এখনো গ্রেফতার হননি তারাও প্রতি মুহুর্ত অজানা আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছেনা ইরাকে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রতি। সেখানকার প্রবাসীদের এই সংকটময় মুহুর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে এক ফেসবুক পোস্টে আবেগঘন খোলা চিঠি লিখেছেন ইরাক প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী। ঢাকারনিউজ২৪.কম এর পাঠকের জন্য সেই লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

খোলা চিঠি :
‘দেশে থাকা হাজার লক্ষ পরিবারের ক্ষুধা নিবারণ করার প্রচেষ্টায় আপনজন ছেড়ে প্রবাস যাপন করাই কি গুরুতর অপরাধ?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনাকে বলছি, আপনিতো এদেশের প্রধান মন্ত্রীই শুধু নন, আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রধান মন্ত্রী আপনি। দেশরত্ন, আপনি দেশ বিদেশের সকল খবরাখবর রাখেন, সম্প্রতি সময়ে ইরাক প্রবাসিদের উপরে জুলুম নির্যাতনের বিষয়টিও আপনার নজরে আছে বলে বিশ্বাস করি। ইরাকে লাখো বাঙ্গালির বসবাস, যারা বাড়ি ভিটা বিক্রি করে পরিবার পরিজন ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন। দিনরাত পরিশ্রমের আয় থেকেই নিজে এবং পরিবারকে খাবার যোগান দেয়। শুধু তাই নয়, প্রবাসিদের পাঠানো অর্থে বিপুল পরিমানে রেমিট্যান্স জমা হয় সরকারি কোষাগারে। যা দেশের উন্নয়নে ব্যায় করা হয়। তাদের জীবন আজ বিপন্ন প্রায়।

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সম্প্রতি ইরাকে নতুন সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের কয়েকদিনের মাথায় নোটিশ ছাড়াই কিছু নিয়ম চাপিয়ে দেয় প্রবাসিদের উপর। যার জন্য আজ প্রবাসী বাংলাদেশিরা হুমকির মুখে, আকামা না থাকার অপরাধ দেখিয়ে হাজার হাজার বাঙ্গালি আজ অন্ধকার কারাগারে। যার মধ্য আমার আত্মীয় স্বজনও রয়েছেন। আরো উল্লেখ্য যে এই অবৈধ্য অভিযানের নামে বৈধ প্রবাসীরাও গ্রেফতার নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। যাকে মধ্যযুগীয় বর্বর নিপীড়ন বলা যেতে পারে। বিগত দীর্ঘ সময় আকামা বন্ধ রেখে নতুন আকামা করার সুযোগ বন্ধ করে রাখেন। সরকার পরিবর্তন হবার পর আকামার সুযোগ না দিয়ে রাতারাতি সবাইকে অবৈধ ঘোষণা করে রাতের আধারে কারাবন্দী করছেন। এই পদ্ধতি পুরাতন বা বর্তমান অবস্থানরত প্রবাসীদের বিতাড়িত করে নতুন করে ফায়দা লোটার একটা ষড়যন্ত্র বলে আমার মনে হচ্ছে।’

‘সুতরাং দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ছাড়া এই সংকটময় ইরাকী বাংলাদেশীদের জুলুম নির্যাতন নিপিড়ন থেকে রক্ষা করার কোন অভিভাবক নেই। আমরা ইরাক প্রবাসি পরিবারের পক্ষ থেকে সবিনয় অনুরোধ করছি আপনি বা আপনার আওয়ামী লীগ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমাদের বাবা, স্বামী, ভাইকে নিরাপদে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়ে আমাদের জীবনমান, সংসার ও পরিজনকে স্বস্তি দিন।’

জান্নাতুল ফেরদৌস
প্রবাসীর স্ত্রী
ঢাকা, বাংলাদেশ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৮:৫৭পিএম/২১/৮/২০১৯ইং)