• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন

না’গঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে বসত বাড়িতে জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ১


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ১২:৩০ AM / ৬৪
না’গঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে বসত বাড়িতে জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ১

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বসত বাড়িতে জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪জন দগ্ধ হয়েছেন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় গোদনাইলের উত্তর ধনকুন্ডা এলাকায় স্থানীয় নাজমুল মিয়ার বসত বাড়িতে এ দূর্ঘটনায ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- মোঃ জসিম (৪৫), তার স্ত্রী গৃহবধু আফরোজা আক্তার (৩৮), মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) ও শিশু ছেলে জুনায়েদ (৭)। এদের মধ্যে আফরোজা আক্তার সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দগ্ধদের মধ্যে মোঃ জসিম (৪৫) ও মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাদের মধ্যে দগ্ধ জসিম’র অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- আগুনে চিকিৎসাধীন জসীম উদ্দিন’র শরীরের ৬৫ শতাংশ, মেয়ে জয়ার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। শিশু জুনায়াদ’র ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহত আফরোজা’র বাবা আব্দুর রব গণমাধ্যমকে জানান- নাজমুল মিয়ার তিন তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে আফরোজা, তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আফরোজা’র স্বামী জসিম হানিফ পরিবহনের বাসচালক। মেয়ে জয়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।

আফরোজা’র বড় ভাই মফিজ প্রধান গণমাধ্যমকে জানান- সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্বামীর জন্য রান্না করতে উঠেন আফরোজা। রান্নাঘরে গিয়ে চুলা জ্বালাতে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতেই রুমের ভেতর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘরের দরজা জানালা ভেংগে যায়। এতে আফরোজা’র পুরো শরীর এবং ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের ৪জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও-ই দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, রাতে সবাই ঘুমানোর আগে রান্নাঘরের চুলার চাবি দেয়া ছিল। কিন্তু তখন গ্যাস ছিলো না। পরবর্তীতে গ্যাস আসার পর সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালে সেখান থেকেই ঘরের ভেতর জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়।

তিনি আরও জানান- এই ঘটনায় একই পরিবারের ৪জন দগ্ধ হয়। এর মধ্যে আফরোজা আক্তার (৩৮) নামে ১জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।