• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

না’গঞ্জ জেলা বিএনপির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ : আব্দুল হাই রাজু


প্রকাশের সময় : জুন ৬, ২০১৭, ১০:০৪ PM / ৫৭
না’গঞ্জ জেলা বিএনপির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ : আব্দুল হাই রাজু

 
মহসীন আলম : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ। এমন মন্তব্য করেছেন খোদ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু। আজকের নারায়ণগঞ্জ’কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

আব্দুল হাই রাজু বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষনার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত বিগত ৪ মাসে আশানুরুপ কোন কর্মকান্ড আমরা দেখাতে পরিনি। এ সময়ের মধ্যে আমাদের আরও অনেক দূর এগুনো উচিৎ ছিল। অতএব যে ধারায় দলের কর্মকান্ড চলছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কোন ভবিষ্যৎ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজু বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে হলে প্রথমত-আংশিক কমিটির ২৬ জনকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর গুরুত্বপূর্ন এ কাজটি বাস্তবায়ন করতে হলে কমিটির প্রত্যেক সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিৎ করে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে মিটিং বা সভা করতে হবে। দ্বিতীয়ত-দ্রুত সময়ের মধ্যে আংশিক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ কমিটিতে রুপ দিতে হবে। তৃতীয়ত-জেলা বিএনপির পূনাঙ্গ কমিটি বাস্তবায়নের পর পরই জেলার প্রতিটি থানা, ইউনিয়ণ ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো সাজিয়ে ফেলতে হবে। কেননা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। জেলার ৫ টি আসনের ফলাফল নিজেদের ঘরে তুলতে হলে নির্বাচনের আগেই প্রতিটি থানা, ইউনিয়ণ ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো নতুন করে সাজানোর বিকল্প নেই। তাছাড়া ওই কমিটিগুলো নতুন করে সাজাতে পারলে জেলা বিএনপি একটি চেইনের মধ্যে চলে আসবে। আর তখন জেলা বিএনপি এমনিতেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, ছোট-খাট কর্মসূচীতেও তখন নেতাকর্মীদের স্রোত নামবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজু বলেন, কমিটির নির্বাহী সদস্যরা অনেক সিনিয়র। যদিও কমিটি ঘোষনার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত তাদেও মধ্যে কেউ কেউ দলীয় কোন কর্মকান্ড বা কর্মসূচীতে অংশ নেন নি, তথাপি তারা পিছিয়ে থাকতে পারবেন না, তাদের আসতেই হবে। কেননা, যেহেতু তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দিতা করার স্বপ্ন দেখছেন, সেহেতু ইগো-ফিগোর চিন্তা বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব মেনে নিয়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তানাহলে তারাই দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাই রাজু বলেন, দলের সভাপতি কাজী মনির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ অযোগ্য বা ব্যর্থ কথাটি এখনই বলা যাবেনা। এত অল্প সমেয়ের মধ্যে এমন অভিযোগ তুল্লে অনেকে পক্ষপাতমুলক ভাবতে পারেন। আমার মতে, তাদের আরও কিছুদিন সময় দেয়া উচিৎ। তারপরও যদি তারা না পারেন, তখন তারা ব্যর্থ বা অযোগ্য প্রশ্ন তোলা অমুলক হবেনা। তবে সভাপতি কাজী মনির সাহেব ব্যাবসয়ী মানুষ বলে হয়তো দলীয় কাজে সময় খুব বেশী দিতে পারছেন না। তিনি আরেকটু সময় দিতে পারলে হয়তো সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:০০পিএম/৬/৬/২০১৭ইং)