সোহেল সানি
________________________________________
রাজর্ষী এক নবপরিণীতা
দেহখানায়-
রূপ তার ধরে না।
মাধুরী মিশ্রিত দেহবল্লরী
যেখানে যেমনটি হলে মানায় –
তেমনিই সুগঠিত।
সুশ্রী সুভাষিণীর মুখাবয়ব,
সর্বশরীর বেয়ে
অঝোরে ঝরে রূপ-সুধা।
কোমলমতি প্রাণ ছিপছিপে গড়ন,
অনিন্দ্য সুন্দর দেহখানা, ক্রম-রংবিন্যাসে অতলান্ত।
রূপেগুণে-স্বাস্থ্যে,
অনবদ্য চরিত্রে
রূপান্তর ঘটেছে তাঁর।
মনকাড়া উচ্ছ্বসিত হাসি, রূপ-গুনের সংমিশ্রণ
অনন্য ব্যক্তিত্বেরই
ব্যতিক্রমী পরিস্ফুটন।
বিনিদ্র-রজনীর হা-হুতাশেও স্বপ্নের, অনন্তকালের রাজকুমারী।
সম্রাটপত্নী প্রেমের পরাকাষ্ঠা,
স্মৃতির যে মর্মরগাঁথা গড়েছেন,
পৃথিবীর সেই সপ্তমাশ্চর্য
তাজমহলের দেখা।
নবপরিনীতা –
প্রিয়তমকে বলছে,
আমার জন্য যদি গড়ে দিতে পারো,
এমন সমাধিসৌধ-
তবে মরে যাবো এখনি।
প্রিয়তমের মন ভরে ওঠে প্রশান্তিতে,
রাশভারি নবপরিণীতার ভীরুঠোঁটে অজস্র চুম্বন।
নবপরিণীতা বাহুডোরে জড়িয়ে প্রিয়তমের দু’হাত আঁকড়ে ধরে-
চোখ ভাসে আনন্দাশ্রু জলে।
প্রখর রৌদ্রতেজে সোনার বর্ণ লাল হয়ে ঘাম ঝরে,
পরিনীতার।
বুক হতে বেনারসির আঁচল নামে,
প্রিয়তমের ঘর্মাক্ত দেহটা মুছে দেয় পরম পরশে।
পরিণীতার মায়াবী প্রেমাবেগ,
প্রিয়তমের হৃদয় করে স্পর্শ,
উপলব্ধ হয় প্রাণস্পন্দন
দুটি দেহের অপূর্ব মিশিলে,
হৃদয়ের তন্ত্রীবাদ্যে বেজে ওঠে সঙ্গমের সুর।
লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :