• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

থাইল্যান্ডে মুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ হালাল হোটেল


প্রকাশের সময় : জুন ২০, ২০১৭, ১১:১৩ AM / ৪৫
থাইল্যান্ডে মুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ হালাল হোটেল

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : থাইল্যান্ড বিগত কয়েক দশক ধরেই এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় টুরিস্ট এট্রাকশন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই সুনাম বেড়েছে, কমেনি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন পর্যটনস্থল গুলোর নাম এবং আকর্ষণ ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর প্রতিটি কোনায়। থাইল্যান্ডে ২০০৬ সালে বাৎসরিক টুরিস্ট এর পরিমাণ ছিল ১৩ মিলিয়ন। সেখান থেকে গতবছর তাদের হিসেবে টুরিস্ট এসেছে ৩২ মিলিয়ন!

এই টুরিস্টদের বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশগুলোর অধিবাসীরা, যারা চায় নিজেদের কালচার এবং সামাজিকতা থেকে ভিন্ন কিছু কিন্তু একইসাথে আরাম আয়েশ এরও কমতি থাকা চলবে না। থাইল্যান্ড সেদিক থেকে এশিয়ার যে কোন দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। টুরিস্টদের জন্য দিনে রাতে চব্বিশ ঘণ্টা যে কোন জায়গা নিরাপদ রাখার জন্য তারা চেষ্টা করে চলেছে নিয়মিত।

থাইল্যান্ডে রয়েছে রঙ্গিন আর ঝলমলে সব রাস্তা যেখানে মানুষের ভীড় আপনাকে পুরানো ঢাকার কথা মনে করিয়ে দেবে। ছবি: সংগৃহীত।

সাম্প্রতিক কালে থাইল্যান্ডে মুসলিম টুরিস্টদের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা যায় এবং এটা একটা আশ্চর্যজনক খবরই বলা যায়। খুঁজতে গিয়ে জানা যায় যে এর পেছনে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিশেষ স্ট্রাটেজি যেটা নিয়ে তারা কাজ করছে গত কয়েক বছর ধরেই।

একজন প্রাকটিসিং মুসলিম হিসেবে একজন মানুষের হালাল খাবার এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে যেগুলোর জন্য ভিন্ন ধর্মী দেশে গিয়ে তাদের বেশ বিপদেই পড়তে হয়। যেটা স্থানীয়ভাবে খুব স্বাভাবিকভাবে নেয়া হয়, এরকম একটা খাবার বা আচার আচরণ হতে পারে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই ধার্মিক মুসলিমদের গিয়ে নিয়মিতভাবে অস্বস্তিতে থাকতে হয়, খাবার গ্রহণ করার সময় বার বার খোঁজ করতে হয় সেটা হালাল কি না বা আরও অনেক কিছুই।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এখন চালু হয়েছে আল-মেরাজ নামে একটি পুর্ণাঙ্গ হালাল ও মুসলিম হোটেল যেখানে থাকলে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবে না। শুধুমাত্র খাবার নয়, হোটেলের প্রত্যেকটা কাজকর্ম শরীয়তের নিয়ম মেনে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে যেটা জেনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন অনেক মুসলিমই।

হোটেলের খাবারের উৎস এবং প্রস্তুতপ্রণালী, দুটোই করা হয় হালাল ও স্বাস্থসম্মত ভাবে। ছবি: আল-মেরাজ ওয়েবসাইট।

আল-মেরাজ হোটেল এর জেনারেল ম্যানেজার সানিয়া সাইবুন নিজেও একজন প্রাকটিসিং মুসলিম। তিনি বলেন, একজন প্রাকটিসিং মুসলিম হিসেবে আমি বুঝি যে ভিন্ন পরিবেশে হালাল এবং হারাম সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ নিয়ে একজন মুসলিমকে কতটা অস্বস্তিতে থাকতে হয়। সারা পৃথিবীতে ইসলামের অনুসারী ১.২ বিলিয়ন। আমরা তাই চেষ্টা করেছি এই বিশাল সংখ্যক মানুষদের মাঝে যারা ভ্রমণ করতে ভালবাসেন, তাদের জন্য নিরাপদ এবং শরীয়ত-সম্মত পরিবেশের ব্যবস্থা করতে, যেন থাইল্যান্ডের বিপুল সৌন্দর্যের সবটাই তারা কোন রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই উপভোগ করতে পারেন।

এই হোটেলে কোন এলকোহল বিক্রি করা হয় না, সুইমিং পুল এবং জিম এ নারী এবং পুরুষদের জন্য রয়েছে আলাদা সময় এবং রয়েছে আরও নানা রকম সুবিধা।

২০০৬ সালে থাইল্যান্ডে মুসলিম টুরিস্ট এসেছিল ২.৬ মিলিয়ন, ২০১৬ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৬.৩ মিলিয়নে। আল মেরাজের মত আরও হোটেল এবং অন্যান্য স্থাপনা করতে পারলে এই সংখ্যা নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পাবে প্রতি বছরই।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:১৩এএম/২০/৬/২০১৭ইং)