• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে ড্রাইভারের যোগসাজশে ট্রেনে ছিনতাই!


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০১৮, ১২:২৬ AM / ৬৬
ঠাকুরগাঁওয়ে ড্রাইভারের যোগসাজশে ট্রেনে ছিনতাই!

ফরিদুল ইসলাম(রঞ্জু), ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে ড্রাইভারের যোগসাজশে চলন্ত ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ছিনতাইয়ের ঘটনা মাত্র ১৫হাজার টাকার বিনিময়ে দফারফা করার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে গত ১১,০২,১৮ইং তারিখ রবিবার দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার মাটিয়াপুর গ্রামের কাদের(২৬),ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও ইসলামনগরের উদ্দেশ্যে আন্তঃনগর ট্রেনে রওনা দেন।দিনাজপুরে এসে বদলি লোকাল(সেভেন আপ)ট্রেনে আসার সময় পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ স্টেশন পার হলে পথিমধ্যে র‍্যাবের পোশাক পড়া এক লোক কাদেরকে অবৈধ জিনিষ আছে মর্মে সার্চ করে তার সাথে থাকা ৪০হাজার টাকা এবং মুঠোফোন নিয়ে নেয়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাদের তার স্ত্রীর বড় ভাই মিজানুর সহ ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে ট্রেনটি আটকে রাখে।ড্রাইভার সাহাবুলের সাথে হট্টগোল হলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই মুকুল এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির হস্তক্ষেপে জনদুর্ভোগ এড়াতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং এস,আই মুকুল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বস্ত করে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলে চলে আসেন।উক্ত ঘটনায় পৌরসভাধীন ১২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেব আলীর ছোট ভাই সোহাগ মিজানুরের বাল্যবন্ধু হওয়ায় তাকে মীমাংসা করার চাপ দেয় এবং ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বস্ত করে। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সোহাগ মাত্র ১৫হাজার টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীদের সাথে দফারফা করে।এতে ভুক্তভোগী কাদের ভেতরে ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।ছিনতাইয়ের বিষয়ে ড্রাইভার সাহাবুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,তিনি সরকারি চাকুরি করেন কোথায় কি হলো,কার কি হলো এটা দেখার দায়িত্ব তার নয়।অপরাধ প্রবণ এলাকা হিসেবে খ্যাত ভাতারমারি ফার্মের ভেতর কেন ট্রেন থামানো হলো তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন উক্ত জায়গায় ট্রেন থামানো হয় নি।কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা একেবারেই ভিত্তিহীন।ট্রেনের বিষয় স্টেশন মাষ্টার এবং ট্রেন পরিচালক ভালো করেই জানেন বলে তিনি বলেন। উক্ত ট্রেন পরিচালক আব্দুস সামাদ জানান,ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এটি তিনি স্টেশনে এসে শুনেছেন,তবে ভোমরাদহ স্টেশন পার হওয়ার পর  হঠাৎ করে ট্রেনটি স্লো হয়ে যায়,এ সময় ড্রাইভার তাকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করেন, কেউ আপনাকে এই জায়গায় নামার কথা বলেছে কিনা?কেউ আমাকে নামার কথা বলেনি বললে ড্রাইভার জানায় র‍্যাবের অফিসার পরিচয়ে একজন এই জায়গায় নামতে চেয়েছিল তাই নামিয়ে দিলাম।স্টেশন মাস্টার মনসুর জানান,ট্রেন কোথায় দাঁড়াবে এটা আমাদের জানার কথা না তবে ড্রাইভার সেখানে ট্রেন থামিয়ে ভুল করেছে।এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসআই মুকুল জানান,ঘটনার সময় তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বস্ত করে আসেন।তিনি শুনেছেন এটা নাকি মীমাংসা হয়েছে তবে তকে জানানো হয়নি।এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ মনে করেন ট্রেন ড্রাইভার শাহাবুলের যোগসাজশেই উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:২৪এএম/১৯/২/২০১৮ইং)