• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহের মাঠ জুড়ে যেন মহাদুর্ভোগের চিহ্ন


প্রকাশের সময় : মে ১৫, ২০১৮, ১০:৫৭ PM / ৩৩
ঝিনাইদহের মাঠ জুড়ে যেন মহাদুর্ভোগের চিহ্ন

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঝিনাইদহ : আবহাওয়ার বৈরীতা যেন আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলেছে কৃষকদের। বৈশাখ জুড়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঝিনাইদহের কৃষকরা। তাইতো পাকা সড়ক আর বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখন চোখে পড়ছে মহাদুর্ভোগের চিহ্ন। ক্ষেতের জমিতে পানির উপর ভাসছে পাকা ধানের আঁটি। ভেজা ধান তুলে এনে কৃষকরা পাকা রাস্তার উপর মড়াই ও শুকিয়ে ঘরে তুলছে। এই দুর্ভোগ কৃষকের মনে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, পানির নিয়ে থাকার কারণ ধানের রং খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্য বাজারে দাম পাচ্ছে না। ঝিনাইদহ শহরের নতুন কোর্টপাড়ার কৃষক মহিউদ্দীন জানান, শহর এলাকায় এক বিঘা ধান কাটতে লাগছে ৬ হাজার টাকা। আর গ্রামে ৩৫’শ টাকা। তাও জোন (কামলা) পাওয়া যাচ্ছে না। আসাননগর গ্রামের কৃষক সুবল কুমার জানান, এবার কৃষকরা বিচুলি বিক্রি বাবদ কোন অর্থ ঘরে তুলতে পারবে না। বৃষ্টির কারণে বিচুলি করা যায় নি। তাই বিঘা প্রতি কৃষকের লোকসান যাবে প্রায় ৬ হাজার টাকা। বাজারে ধানের দাম ইতিমধ্যে পড়ে গেছে। এক হাজার টাকা মন ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য জাতের ধানের দাম সাড়ে ৭’শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা এক সপ্তার ব্যবধানে ধানের দাম বৃদ্ধি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মনিরুজ্জামান জানান, এবার ঝিনাইদহ সদরে ২৩ হাজার ৬’শ ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। মাঠে ফলনও ভাল। তবে এই আবহাওয়ায় তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা না। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আব্দুর রউফ জানান, কিছু এলাকায় কৃষকদের বৃষ্টিতে সমস্যা করেছে। তবে এটা হতো না, কৃষকরা বিচুলির জন্য সময় ক্ষেপন করার কারণে দুর্যোগে পড়েছে। তিনি বলেন আমরা পরিসংখ্যানবিদদের সাথে ক্ষতির পরিমান নিরুপন করবো। তিনি বলেন এবার সারা জেলায় ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। বেশির ভাগ এলাকায় কৃষকরা নির্বিঘেœ ধান ঘরে তুলতে পেরেছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৫৬পিএম/১৫/৫/২০১৮ইং)