• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

চূড়ান্ত বাছাইপর্ব আসছে ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির


প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০১৮, ৫:১৬ PM / ৬২
চূড়ান্ত বাছাইপর্ব আসছে ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির

মাহাবুব আলম শ্রাবণ(বিশেষ প্রতিনিধি): নানা কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, খবরের পাতায় পাতায় প্রতিদিন জায়গা করে নিয়েছে নানা ভাবে। সর্বশেষ ছাত্রলীগ নিয়ে যে খবরগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসছে তার ভেতর একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ২৯তম জাতীয় সম্মেলন পরবর্তী ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে।

ঈদের আগেই ছাত্রলীগের কমিটি চূড়ান্ত করতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক হয়েছে কয়েকদফা। তবে, আশানুরূপ উত্তর না মিললেও দেশরত্নের আশ্বাস যেন প্রশান্তির বাহক তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি তাড়াতাড়ি দিতে হবে। এতদিন কমিটি ঝুলিয়ে রাখা ঠিক না।’ উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ছাত্রলীগে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে গেছে এরকম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কমিটি ঘোষণার আগে যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাহলে ছাত্রলীগের কমিটি কি সময়ের ব্যাপার মাত্র?

সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছাত্র রাজনীতি, পারিবারিক পরিচয় এবং শিক্ষাগত বিষয় নিয়ে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও এসে পৌছেছে তার হাতে যেকোন সময় হতে পারে কমিটি। শুধু তাই নয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ সহ এবার পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হবে এমনটি জানিয়েছেন দলের হাইকমান্ড।

ছাত্রলীগ নিয়ে বিগত কয়েক বছরে কোটারী স্বার্থ হয়েছে,গড়ে উঠেছে একটা সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতেই কমিটি গঠনে বিলম্ব হয়েছে।আঞ্চলিক বিবেচনা নয় বরং যোগ্যতার ভিত্তিতেই এবার কমিটি হবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করছেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে বিলম্ব হওয়া যৌক্তিক। কারণ, নির্বাচনের আগে এই কমিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বিগত ৭০ বছরে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে ২৮ বার। ছাত্রলীগের প্রথমদিককার কমিটিগুলো তাদের নির্ধারিত মেয়াদকালের ধারাবাহিতা বজায় রাখলেও এর ছন্দপতন ঘটেছে ১৯৯০ পরবর্তী কমিটিগুলো থেকে। ৯০ পরবর্তী কমিটিগুলোর সবগুলোই প্রায় ৪ বছর করে তাদের মেয়াদকাল অতিবাহিত করেছে। গত ৩০ বছরের ইতিহাসও তেমনটাই বলে। এই ৩০ বছরে নতুন কমিটি হয়েছে মাত্র ৭টি। অথচ গঠনতন্ত্র মেনে সঠিক সময়ে সম্মেলন হলে প্রায় ১৫টি নতুন কমিটি পাওয়ার কথা ছিল। এগুলোর কারণ হতে পারে নানা রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ, এরকমটাই মনে করে থাকেন বিশ্লেষকরা। তবে এসব হিসাব-নিকাশের পরেও কিছু কথা থেকেই যায়।

 

(ঢাকারনিউজ২৪.কম//এসডিপি/৫:১৫পিএম/৩১/৫/২০১৮ইং)