• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

এবার বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম!


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০১৭, ৫:২৮ PM / ৩৩
এবার বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : চাল, সবজি, আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলার পর এবার দাম বাড়লো অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য ভোজ্যতেলের।
২৬ আগস্ট শনিবার রাজধানীর রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাজারে মসলাসহ ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। এই কারণে মসলার সঙ্গে সঙ্গে ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে।

রামপুরা বাজারের মুদি পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কেজিপ্রতি ছোলা ৮৫, দেশি মুগ ডাল ১৩০, ভারতীয় মুগ ডাল ১২০, মাসকলাই ১৩৫, দেশি মশুর ডাল ১২৫, ভারতীয় মশুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে লিটারে পাঁচ থেকে ৭ টাকা করে। ব্র্যান্ড ভেদে পাঁচ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক লিটারের বোতল ৫ টাকা বেড়ে ১০৭-১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০-৫৫, আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ১১০, আমদানি করা ভারতীয় রসুন ১৩০, আলু ২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। এছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৫-১০ টাকা হারে বেড়েছে।

বাজারে প্রতিকেজি শিম ১৪০, হাইব্রিড টমেটো ১৬০, দেশি টমেটো ১০০, শসা ৬০, চাল কুমড়া ৫০-৫৫, কচুর লতি ৬০-৬৫, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, ঝিঙ্গা ৬০, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০, করলা ৬০, কাঁকরোল ৫৫, পেঁপে ৪০-৫০, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ৩৫, বাঁধাকপি ৩০ এবং লেবু হালিপ্রতি ২০-৪০, পালং শাক প্রতি আঁটি ২০, লালশাক ২০, পুঁইশাক ৩০ এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মোটা স্বর্ণা চাল ৪২-৪৩, পারিজা চাল ৪২, মিনিকেট (ভালোমানের) ৫৫, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৩, বিআর-২৮ ৪৮-৫০, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০, উন্নতমানের নাজিরশাইল ৫২, পাইজাম চাল ৪৮, বাসমতি ৫৩, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ এবং পোলাওর চাল (পুরাতন) ১০০, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে সব মাছের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি রুই মাছ ২৮০-৪০০, সরপুঁটি ৩৮০-৪৫০, কাতলা ৩৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০, সিলভার কার্প ২৫০-৩০০, চাষের কৈ ৩০০-৩৫০, পাঙ্গাশ ১৫০-২৫০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০, ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি ২০০-২২০, দেশি মুরগি প্রতিপিস ৪২০-৪৪০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ৩০ টাকা কমে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৫:২৬পিএম/২৬/৮/২০১৭ইং)