• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

আ.লীগের উজ্জ্বল নক্ষত্র তরুণ ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান আবিদ(ভিডিও)


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৪, ২০২০, ৫:৪১ PM / ৮৩
আ.লীগের উজ্জ্বল নক্ষত্র তরুণ ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান আবিদ(ভিডিও)

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি লাল-সবুজের বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গঠন করেছিলেন ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২’র শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১১ দফা আন্দোলন, ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ৯০এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশপ্রেমে এক অনন্য স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ মুজিব বাহিনী গঠন করে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের বিজয় লাভে বিশাল ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের অনন্য উদাহরন হয়ে মেহেদী হাসান আবিদের নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে ‘ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট ছাত্রলীগ’।

সারাদেশে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগকর্মীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক থাকলেও ‘ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট ছাত্রলীগ’ এর সভাপতি ও বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান আবিদ তার মানবতা ও দেশপ্রেম দিয়ে বদলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্রলীগ’ এর প্রতি সাধারন মানুষের ভ্রান্ত সেই ধারনাকে। ২০১৬তে সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গত ৩ বছরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটকে র‌্যাগিংমুক্ত ও শান্তি-শৃঙ্খলা এবং মানবতার উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি।

মাদকমুক্ত দেশ গড়তে খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। এই ভাবনা থেকে প্রতিষ্ঠানটির যেখানে একসময় ময়লার স্তুপ জমে থাকত, স্বউদ্যোগে সেটি পরিষ্কার করে সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ তৈরি করেছেন ছেলেবেলা থেকে খেলাধূলার প্রতি তুমূল আগ্রহ নিয়ে বেড়ে উঠা মেহেদী হাসান আবিদ। নিজেও প্রতিদিন খেলাধূলা ও শরীরচর্চা করেন, পাশাপাশি অন্যদেরও উৎসাহিত করেন। ছাত্রলীগকর্মী ও সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘রক্তকনিকা’ নামে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের নিয়ে একটি সংগঠন। যে সংগঠন থেকে সর্বশেষ সারাদেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগিদের প্রায় ৯শ’ ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে ‘রক্তকনিকা’র ঢাকা টিম এর সহ-সভাপতি শাহনাজ খানম বলেন- ‘আমরা প্রথম অবস্থায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করেছি। যেখানে বিনামূল্যে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। আসলে মেহেদী হাসান আবিদ ভাই না হলে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে এই ধরনের একটি ক্যাম্পেইন করা সম্ভব হতোনা। মেহেদী ভাই মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের এই কাজটি করে দিয়েছেন। এ সংগঠন থেকে সর্বশেষ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগিদের প্রায় ৯শ’ ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন আমাদের সদস্যরা। এছাড়া প্রতি বছর ১৪ থেকে ১৫শ’ ব্যাগ রক্ত দিচ্ছে আমাদের পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। আমাদের আগামী চিন্তা হচ্ছে মেহেদী ভাইয়ের সহযোগিতা নিয়ে এই ক্যাম্পাসে আমরা বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করব’।

এদিকে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি আরো এক সংগঠন ‘বিং হিউম্যান-মানুষের জন্য’ এর মাধ্যমে অভিভাবকের মতো সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের বিনামূল্যে খাবার-পোশাক এবং অসহায়-দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ এর মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন মেহেদী হাসান আবিদ।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির পরিচালক মাসুম হাসনাইন বলেন- ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের অভিভাবক মেহেদী হাসান আবিদ ভাইকে। কারণ, তিনি অভিভাবকের মতো উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেন বলেই আমরা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এই ধরনের মহতি কাজে সম্পৃক্ত হয়েছি। তাঁকে দেখতাম সব সময় গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাদেরকে সাহায্য করেন। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই এই সংগঠনটি করা। সংগঠনটি চালাতে গিয়ে মেহেদী ভাই আর্থিক ও মানসিকভাবে আমাদেরকে অনেক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। বিগত ৩ বছর যাবত আমরা এভাবে টাকা কালেকশন করে অসহায়-দরিদ্র শিশুদেরকে ঈদের পোশাক দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ৪শ’ কম্বল নিয়ে গভীর রাতে রাস্তায় ঘুমিয়ে থাকা অসহায়-দরিদ্রদেরকে কম্বল দিয়েছি। সামনেও আমরা উত্তরাঞ্চলে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করব। এ সকল সুন্দর কাজে ভাই আমাদের অনুপ্রেরণা।’

পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক পরিবেশে বেড়ে উঠা মেহেদী হাসান স্কুলজীবন থেকেই ছিলেন প্রচন্ড সাহসী। মাত্র ৫ম শ্রেণীতে পড়াকালীনই তাার মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি লক্ষ্য করেন তার শিক্ষকরা। ৭ম শ্রেণীতে পড়াকালীন ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাবা তাফাজ্জল হোসেন একসময় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈণিক হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। চাচা লেয়াকত হোসেন মতলব উত্তর থানা আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য। তবে মূলত মা নাজমা বেগমের অনুপ্রেরণাতেই তার আজকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বলে জানান তিনি। বিশেষ করে মা এবং নানার মুখে ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। মা নিজেও একজন সমাজসেবী হিসেবে মানুষের কল্যাণে অবিরাম গতিতে কাজ করে চলেছেন। বলা যায়, মানবসেবায় অনেকটা মায়ের গুণাবলি পেয়েছেন তিনি।

২০১৬তে ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট ছাত্রলীগ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইনস্টিটিউট ও ছাত্রাবাসগুলোর সার্বিক উন্নয়নে অবিরাম গতিতে কাজ করে ইতিমধ্যেই তিনি সাধারন শিক্ষার্থীদের নির্ভরতা ও ভালোবাসার জায়গা দখল করে নিয়েছেন।

ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মেহেদী হাসান বলেন- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতোনা, আমরা লাল-সবুজের পতাকা পেতাম না, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না, আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। সেই মহান ব্যক্তিটি অনেক দুরদর্শি চিন্তা থেকে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তিনি জানতেন এদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রদের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই ছাত্রলীগের ইতিহাস। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ রাষ্ট্রের যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা অপরিসীম। এসব আন্দোলনে আমাদের ইনস্টিটিউটের অনেক ছাত্রনেতা শহীদ হয়েছে, অনেকে আহত হয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে জীবন যাপন করছেন। আমাদের ঢাকা পলিটেকনিক ছাত্রলীগের ইতিহাস ছাত্র রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐহিত্য রক্ষা করতে যখনই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই ঢাকা পলিটেকনিক পাশে থেকেছে এবং সামনেও থাকবে। আমি বলতে চাই- পাকিস্তানীদের যে প্রেতাত্মা এখনো বাংলাদেশে আছে, যারা আমাদের দেশের ক্ষতি করতে চায়, আমাদের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আওয়ামীলীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে সব সময় কাজ করে যাবে।

তিনি মনে করেন- বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। এর জন্য জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে চান, জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান। জননেত্রী শেখ হাসিনার ২ সন্তান ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার সজিব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশকে আইটি সেকসনে এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম এর উপর কাজ করে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের মুখকে উজ্জ্বল করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিনে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই তুলে দিয়েছেন। যা এদেশের ইতিহাসে বিরল। তিনি তার ২টি সন্তানকে যেভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন, তেমনি করে সারাদেশের প্রতিটি মানুষকেই তিনি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান।

মেহেদী হাসান আবিদ মনে করেন- প্রতিদিন চিন্তা করি যে কতবেশি মানুষের কল্যাণে কাজ করা যায়। এই চিন্তা থেকেই কলেজ ও এর গন্ডির বাইরে সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করি।

তিনি বলেন- আমরা বিগত সময়ে দেখেছি কিভাবে এই পলিটেকনিকে রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার করে সাধারন শিক্ষার্থীদেরকে হয়রানি করেছেন। আমরা সেই র্যা গিং থেকে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে পেরেছি। আগে কোনোমতে পাশ করে বেরোনোর পর কোনো শিক্ষার্থী আর এখানে আসত না। কিন্তু এখন সবাই আসেন। এখন আমরা ছাত্র-শিক্ষক সবাই একসাথে মিলিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করি। ইতিমধ্যেই আমরা ছাত্রীদের দীর্ঘদিনের চাহিদা অনুযায়ী আরো একটি ছাত্রীনিবাস(বহুতল ভবন) তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এভাবেই আমরা একসাথে একটি পরিবারের মতো প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে, সাধারন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের অবদানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন স্লোগান মাস্টার হিসেবে খ্যাত মেহেদী হাসান আবিদ। শুধু তাই নয়, তার মতে বর্তমান যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে হলে খেলাধূলা, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোতে যুক্ত করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ছারপোকা’র সার্বিক তত্বাবধান করে চলেছেন তিনি। ছারপোকা’র বিভিন্ন শো থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বিড়াট অংশ গরিব-অসহায়দের কল্যাণে ব্যায় করেন দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।

যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে, ছাত্রলীগের আদর্শ এবং আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পাশে থেকে ভবিষ্যতেও রাজনীতি করে যেতে চান এই ছাত্রলীগ নেতা।

ভিডিও সংবাদটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-  

https://www.youtube.com/watch?v=6AOvGGF6JUs

 

 

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৫:৩০পিএম/৪/১/২০২০ইং)