• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

আসমানি কিতাবের পরিচয় ও সংখ্যা


প্রকাশের সময় : মে ১১, ২০১৭, ৬:৪৬ PM / ৩৪
আসমানি কিতাবের পরিচয় ও সংখ্যা

 
মাওলানা মিরাজ রহমান : নবী-রাসূলগণ আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে যেসব কিতাব বা গ্রন্থ (জীবনবিধান সম্বলিত গ্রন্থ) লাভ করেছেন সেসব ধর্মগ্রন্থকে আসমানি কিতাব বলা হয়। পৃথিবীর শুরুলগ্নে আগমন করা নবী হজরত আদম (আ.) থেকে সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত নাজিলকৃত সব আসমানি কিতাবের উপর ঈমান আনা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরজ। সূরা বাকারার শুরুতে আল্লাহ তাআলা মুত্তাকিদের গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, (মুত্তাকি তারাই) যারা আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান রাখে। (সূরা বাকারা, ২ : ৪)

অন্য আয়াতে এই মর্মে আরো ইরশাদ হয়েছে, রাসূল, তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। তাদের সকলেই আল্লাহ্, তার ফেরেশতাগণ, তার কিতাবসমূহ এবং তার রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনায়ন করেছেন। (সুরা বাকারা, ২ : ২৮৫)

এইকভাবে আরো বহু আয়াতে এ কথা বিবৃত হয়েছে যে, সত্যিকার ঈমানদার হতে হলে কুরআন মাজিদ এবং পূর্ববর্তী সকল আসমানি কিতাবের উপর ঈমান আনা আবশ্যক। আসমানি কিতাবসমূহের উপর ঈমান তাৎপর্য হলো- এ কথা বিশ্বাস করা যে, এগুলো আল্লাহর পক্ষ হতে নাজিলকৃত আসমানি কিতাব। বিভিন্ন যুগে বসবাসকারী মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ্ তাআলা বিভিন্ন নবীর প্রতি এ কিতাবসমূহ অবতীর্ণ করেছেন।

আর সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ আল-কুরআনের উপর ঈমান আনার মর্ম হচ্ছে- এর মধ্যে যত হুকুম-আহকাম বা বিধি-বিধান রয়েছে তা মনেপ্রাণে স্বীকার করা এবং এ কথা বিশ্বাস করা যে, এই কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এ কিতাব নাজিল হওয়ার পর অন্যান্য আসমানি কিতাবের উপর আমল করা রাহিত হয়ে গেছে। কারণ পূর্বে যেসব কিতাব নাজিল করা হয়েছে তা যেমনিভাব রাহিত ঠিক তেমনি বিকৃতও বটে। কিন্তু একমাত্র কুরআন মাজিদের বিষয়টি স্বতন্ত্র। কুরআন এক শাশ্বত চিরন্তন কিতাব। সর্বকালের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য এ কুরআন সমভাবে প্রযোজ্য।

আসমানি কিতাবের সংখ্যা কতটি- এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা মতাপার্থক্য রয়েছে। আল্লাহর প্রেরিত আসমানি কিতাবের সংখ্যা একশত চারটি। এর মাঝে ১. তাওরাত। ২. জবূর। ৩. ইনজিল। ৪. কুরআন- এ চারটি আসমানি কিতাব বড় বা বিখ্যাত। বাকি আরো যত ছোট বা অখ্যাত আসমানি কিতাব রয়েছে তাকে সহিফা বলা হয়। কুরআন শরীফে প্রথমোক্ত তিনখানা কিতাবেরর কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া আল-কুরআনে সহিফার কথাও উল্লেখ রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, এত আছে পূর্ববর্তী গ্রন্থে; ইরবাহিম ও মূসার গ্রন্থে। (সূরা আলা, ১৮-১৯) অপর এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের অবশ্যই এর উল্লেখ আছে। (সূরা শুআরা, ১৯৬) (প্রিয়.কম)

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৬:৫০পিএম/১১/৫/২০১৭ইং)