• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আফ্রিদির বিদায়


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১৭, ১০:২২ AM / ৪৯
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আফ্রিদির বিদায়

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : একজন তারকা অলরাউন্ডার তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এরইমধ্যে কেটেছে প্রায় ২১টি বছর। বয়সও হয়েছে। কয়েক মাস ধরেই শহিদ আফ্রিদির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের গুঞ্জন ছিল। অবশেষে আসল সেই ক্ষণ। রোববার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক।
পিএসএলে আগের সেই আফ্রিদিকে দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। করাচির বিপক্ষে ২৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসটিতে ছিল ৫টি ছয় ও ৩টি চারের মার। এই দিনটিকে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার সেরা সময় মনে হয়েছে ৩৬ পেরিয়ে যাওয়া এই ডানহাতির।
অনেক আগেই টেস্ট ও ওয়ানডের জার্সি তুলে রেখেছিলেন আফ্রিদি। চেয়েছিলেন আরও কয়েকবছর দেশের হয়ে টি-টুয়েন্টি খেলতে। কিন্তু গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাজে ফর্ম যেন তার পিছু ছাড়ছিল না। তাই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্বের সঙ্গে দলে জায়গা হারান তিনি।

রোববার শারজায় পিএসএলের ম্যাচ শেষে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছি। আমি আমার ভক্তদের জন্য আগামী দুই বছর পিএসএলে খেলতে চাই। আমার কাছে এখন আমার ফাউন্ডেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
২০১০ সালে দেশের জার্সি আফ্রিদি খেলেছিলেন সবশেষ টেস্ট। এদিকে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর তুলে রাখেন ওয়ানডের জার্সিও। এরপর থেকে এই ডানহাতি লেগস্পিনার বনে যান একজন টি-টুয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে। এই ফরম্যাটে ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তাকে নেতৃত্ব দেন।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর আফ্রিদিকে আর দলে ডাকেনি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যে কারণে তাকে এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্বও হারাতে হয়।
২১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন আফ্রিদি। টেস্টে তাঁর রান ১,৭১৬। সর্বোচ্চ রান ১৫৬। উইকেট ৪৮টি। এদিকে ৩৯৮ ওয়ানডেতে ৮,০৬৪ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ১২৪। উইকেট ৩৯৫টি। ৯৮ টি-টুয়েন্টিতে আফ্রিদির রান ১,৪০৫ রান। উইকেট ৯৭টি।

১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেছিলেন আফ্রিদি। প্রথম ইনিংসটাই তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর থেকে যত সময় গড়িয়েছে, ততই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডারের। এমন একজন ক্রিকেটারকে হারানো যে কোনো দেশের ক্রিকেটের জন্যই বড় ক্ষতি। আর এটা পুষিয়ে নিতে যে অনেকদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে পাকিস্তানকে, তা বলাই যায়।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:২০এএম/২০/২/২০১৭ইং)