• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ৭ প্রস্তাব


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৯, ২০১৮, ১২:২৬ PM / ৭৬
আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ৭ প্রস্তাব

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : আন্তঃকমনওয়েলথ ব্যবসা, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনার উন্নয়নে সাত দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল বুধবার(১৮ এপ্রিল) ‘কমনওয়েলথ’স রোল ইন প্রমোটিং ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক এক বৈঠকে এই প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১. সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শিল্প সম্ভাবনা ও উৎপাদনশীলতার খাত ভিত্তিক সমীক্ষা প্রয়োজন।

২. ছড়িয়ে থাকা বিনিয়োগ সম্ভাবনাসহ অভিন্ন বিনিয়োগ নীতি, নির্দেশনা ও কৌশল গ্রহণ।

৩. বাণিজ্য সহায়ক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং পিটিএ ও এফটিএ’র অশুল্ক বাধা কমিয়ে আনা।

৪. সেবা বাণিজ্যের জন্য উদারশাসন এবং স্বতন্ত্র পেশার সেবা সুবিধার জন্য খোলাবাজার চালু।

৫. প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যাতায়াত এবং সরকারি ও বেসরকারি ক্যাটাগরিতে নির্দিষ্ট লোকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ।

৬. অবকাঠামো এবং যোগাযোগ প্রকল্প গ্রহণ।

৭. এসএমই এবং ব্লু ইকোনমি খাতসহ উৎকৃষ্ট কেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠানের সহায়তা এবং উন্নয়ন, আরএন্ডডি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল গঠন।

আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রশাসনকে আরও উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করে তুলতে কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের জিডিপিতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের অবদান ১৬ শতাংশ, অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি দেশের এই অবদান ১৯ শতাংশ। কমনওয়েলথ দেশগুলোর জনসংখ্যা দুইশত কোটির বেশি, যা ইইউ’র ৪ গুণ। এই হিসেব থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা বোঝা যায়।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনার লক্ষ্যে দেশগুলোকে অবশ্যই অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জোরদার করতে হবে। আমরা অবশ্যই বাণিজ্য প্রশাসন উন্মুক্ত, আইন ভিত্তিক, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করব।’

এছাড়া বাণিজ্য ফোরামের ‘এশিয়ান লিডারস রাউন্ড টেবিল: ক্যান এশিয়ান কিপ গ্রোয়িং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এশিয়া বিশ্বের ভবিষ্যৎ গন্তব্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন। সূত্র: বাসস

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:২৫পিএম/১৯/৪/২০৮ইং)