• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ : শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয়


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৯, ২০২৪, ৯:০০ PM / ১১১
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ : শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয়

ঢাকারনিউজ : ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর দ্বিতীয় আসরের আয়োজকও বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জেতা ট্রফি এবার ঘরের মাঠেই ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। প্রায় নতুন একটা দল নিয়ে সেই প্রত্যাশার কথাই শোনালেন কোচ, অধিনায়ক ও সিনিয়র খেলোয়াড়রা।

আগামী ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট। এবার অংশ নেবে চার দল- ভারত, নেপাল, ভুটান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। দল কম বলে খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে।

২০২১ সালে ফাইনালে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভারতকে। বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ হারেনি। ১৯ গোল করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশের জালে বল পাঠাতে পারেনি কোনো দেশ।

এবার বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে এবং শেষ ম্যাচ ৬ ফেব্রুয়ারি ভুটানের সঙ্গে।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন। লক্ষ্য কি? এসব জানাতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিল বাফুফে। দলের প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটু জানিয়েছেন, ‘আমাদের এই দলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই নতুন। অনূর্ধ্ব-১৭ দলেরই ১৪ জন। ৩ জন আছেন বিকেএসপির। আর জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আফঈদা, স্বর্ণা, ইতি খাতুন, সুরমা জান্নাত, আফঈদা খন্দকার প্রান্তি স্বপ্না রানী। এই নতুনদের নিয়েই আমরা শিরোপা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।’

বাফুফের সদস্য ও বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘এটা টুর্নামেন্টের সেকেন্ড এডিশন। ২০২১ সালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এবারও আমরা আয়োজক। এই দলের ৫ জন খেলোয়াড় আছেন যারা আগে খেলেছেন। বাকিরা বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল থেকে এসেছে।’

প্রথম ম্যাচটিকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিকল্পনা প্রতিটি ম্যাচ ধরে খেলা এবং একটির পর একটি ম্যাচ জেতা। তাই জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই। আর প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই ফাইনাল খেলা।’

অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে অনুশীলন করছি। আশা করি দেশবাসীকে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারবো। আমাদের দলে ফরোয়ার্ড যারা আছেন তারা অনেক ভালো। তাদের ফিনিশিংও ভালো।’