• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

“অত্যাচার নির্যাতন করেছে বিএনপি, গ্রেফতার করেছে আমাকে”


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৮, ২০১৮, ১২:০৬ PM / ৩৬
“অত্যাচার নির্যাতন করেছে বিএনপি, গ্রেফতার করেছে আমাকে”

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যারা গ্রেফতারের নেপথ্যে কাজ করেছিলেন, তাদের হিসাব-নিকাশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার(২৭ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় তিনি এ ঘোষণা দেন। দীর্ঘ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে নানা সময় কী কী ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তাকে গ্রেফতারের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘তখন অত্যাচার নির্যাতন করেছে বিএনপি সরকার। আর গ্রেফতার করা হলো আমাকে। কারা এই কাজ করেছে, তা আমি জানি। তাদের হিসাব নিকাশ পরে করব।’

ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে ষড়যন্ত্র হলো। ভোট বেশি পেয়েও ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ওই সময় বিএনপি-জামায়ত জোট ক্ষমতায় এসে শুরু করলো জুলুম-অত্যাচার।’

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও যেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসতে পারে, তার জন্যও ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।

পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কারো নাম না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ভদ্রলোক; বিশ্বের অনেক নামকরা প্রাইজ পেয়েও তার মন ভরেনি। ক্ষুদ্র একটি ব্যাংকের এমডির পদের লোভে পদ্মা সেতু বন্ধ করার জন্য আমেরিকায় লবিং করে বিশ্বব্যাংক থেকে টাকা বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি- জাতির পিতা বলেছেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা বাঙালি, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। আমিও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। দুর্নীতির অভিযোগ আনার বহু চেষ্টা করা হয়েছিল। আগে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এজেন্সি হায়ার করে এনে আমার বিরুদ্ধে, আমার বোনের বিরুদ্ধে এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিলেন যে কোনো দুর্নীতি পায় কিনা, কিন্তু পায়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই এমডি সাহেবও আমেরিকাকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছে। দুর্নীতি না পেয়ে বিশ্বব্যাংককে দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করিয়েছে। কানাডার ফেডারেল কোর্টে মামলা হয়েছিল, কিন্তু মামলায় দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি। অভিযোগটি ছিল ভুয়া।

তিনি বলেন, লাখো শহীদ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেব না। আর যারা স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চায় তারা যেন আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক হারুন-উর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের পরিচালনায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৪০এএম/২৮/৩/২০১৮ইং)