মোঃ আমিনুল হক, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী আহমদুল ইসলাম তপনের বিরুদ্ধে সরকারি উপবৃত্তির ফরম নিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২’শ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অর্থ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগÑ সরকারি উপবৃত্তির ফরম নিতে গেলে কলেজের অফিস সহকারী আহমদুল ইসলাম প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২’শ টাকা আদায় করছেন। যা নিয়মবর্হিভূত। দ্রুত আদায় করা টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে আহমদুল ইসলাম তপনের শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। অফিস সহকারী আহমদুল ইসলাম তপন বলেন, অনলাইনে কাজ করতে এ খরচ লাগে। তাছাড়া দুই বছর ধরে এই টাকা নেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, উপবৃত্তি আবেদনের সকল কাগজপত্র অধ্যক্ষ স্যারকে দিলে তা বাইরের কম্পিউটার দোকানে কাজ করেন। এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন। আর কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সেখানে অফিস সহকারী কেন টাকা চেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩১৫ জন শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, উপবৃত্তির জন্য কলেজে আবেদন করেছি। এ জন্য অফিস সহকারী ২’শ টাকা দাবি করেন। কলেজে টাকা না দিলে নাকি আমাদের উপবৃত্তির আবেদন জমা নিবে না। নাম প্রকাশ না করে এক অভিভাবক বলেন, উপবৃত্তি গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য। এটা পেতে তো কোনো টাকা লাগার কথা নয়, আর যদিও অনলাইন খরচ লাগে তাহলে সবোর্চ্চ ৫০ টাকা লাগবে। এর বেশি লাগার কথা না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক টাকা নেওয়ারও বিধান নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি করে দেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :