সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : মাত্র ১ বছরের পুত্র সন্তান সহ ঢাকার সূত্রাপুরে শশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া পূর্ণিমা চন্দ্র রাজবংশিকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় দরিদ্র বাবা সুজন চন্দ্র রাজবংশি।
এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় বার বার যোগাযোগ করলেও পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে দাবি সুজন চন্দ্রের।
জানা গেছে, সাড়ে ৩ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পানগাঁও এলাকার মাছ বিক্রেতা সুজন চন্দ্র রাজবংশির একমাত্র ময় পূর্ণিমার সাথে বিয়ে হয় ঢাকার সূত্রাপুরের ১৫ নং ফরাজগঞ্জ লেন চামারচুলি এলাকার পাপ্পু দেবনাথ এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ২ লাখ টাকা যৌতুক ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হয়। তাদের ঘরে ১৩ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
পূর্ণিমার বাবা সুজন অভিযোগ করে বলেন – ‘‘বিয়ের প্রথম ২ বছর ভাল চললেও সন্তান হওয়ার পর থেকেই পাপ্পু আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় মারধর করে আসছিল। এই নিয়ে একাধিকবার আমরা মেয়ের শশুর বাড়িতে যাই। এমনকি এক পর্যায়ে প্রতিবাদ করতে গেলে পাপ্পু আমার উপরেও হাত তুলে। ৬ মাস আগেও পাপ্পু আমাকে ফোন করে গালাগালি করে পূর্ণিমাকে দ্রুত নিয়ে আসতে বলে, নাহয় আমার মেয়েক জানে মরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। তাই আমার বিশ্বাস ওরাই আমার মেয়ে ও নাতিকে খুন অথবা গুম করে ফেলছে।’’
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে পূর্ণিমার স্বামী ও শশুর শাশুড়ির কাছে জানতে চাইলে তারা দাম্পত্য কলহের বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো উত্তেজিত হয়ে বলেন- ‘‘পূর্ণিমা ২জন ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা।’’
বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন(বাসক) এর পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন – ‘‘নিখোঁজ পূর্ণিমার বাবা সুজন আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে তার মেয়ে ও নাতি নিখোঁজ এর বিষয়টি জানিয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশ পূর্ণিমার স্বামীর পক্ষে অভিযোগ গ্রহণ করলেও বাবার অভিযোগ গ্রহণ করেনি। আমি এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে একটি সাধারন ডায়েরি করে দিতে সহযোগিতা করেছি। তবে বিষয়টিতে পুলিশের অসহযোগিতা আমার কাছেও স্পষ্ট মনে হয়েছে।’’
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মইনুল ইসলাম বলেন – ‘শশুর বাড়ির দেয়া তথ্য থেকে আমার ধারনা মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। তবে আমরা ফোন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেয়েটিকে খুঁজে বের করব।’’
ভিডিও সংবাদটি দেখতে অপেক্ষা করুন-