• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

৬ জেলায় তলিয়ে গেছে ২ লাখ হেক্টর বোরো ক্ষেত


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০১৭, ৮:৫৮ AM / ৩৯
৬ জেলায় তলিয়ে গেছে ২ লাখ হেক্টর বোরো ক্ষেত

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

কয়েকদিনের টানা বর্ষণের পর উজান থেকে অসময়ে নেমে আসে ঢলে সিলেট সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিকভাবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ছয়টি জেলার হাওর অঞ্চলের প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষেত এখন পানির নিচে।

সিলেট অঞ্চলের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সরেজমিন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওরের নিম্নাঞ্চলগুলোর বোরো ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে উপদ্রুত অঞ্চলে ফসলী জমি পানির নিচে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ ধারণা এখনও পাওয়া যায়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিশেষজ্ঞরা জানান, গত পাঁচ দশকে এপ্রিলের প্রথম দিকে দেশের কোথাও কখনো বন্যা হয়নি।সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝিতে ধান পাকার সময় বন্যা হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর আগে বন্যা এসেছে। ফলে পানি স্থির থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। আগামী ৪-৫ দিনের আগে পুরো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব হবে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান নদী সুরমার পানি হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য দুটি নদী-মনু ও খোয়াইয়ের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এ এলাকার সুরমা নদী শুধু কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদী শেওলা ও অমলশিদে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

হাওর অঞ্চলে অসময়ে বন্যা নেমে আসা প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) র পরিচালক চৈতন্য কুমার দাস বলেন, হাওরে হঠাৎ পানির ঢল নেমে আসায় সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি। হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের কাজও শেষ করতে না পারায় নতুন নতুন এলাকার বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, উজান থেকে কী পরিমাণ পানি আসবে সেটি আমরা জানি না। সিলেটের দিকে পানি এখনও বাড়ছে। তাই আর ৪ থেকে ৫ দিন পর আমরা বলতে পারব কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নদীগুলোতে পলি পড়েছে। ফলে পানি এলেও সেটি বহন করতে পারছে না। ফলে তা তলিয়ে যাচ্ছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /­০৯.০০ এএম/০৬//২০১৭ইং)