• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

১০ হাজার কৃষকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না মোবারকগঞ্জ চিনিকল


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০১৮, ১২:৪১ PM / ৩৭
১০ হাজার কৃষকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না মোবারকগঞ্জ চিনিকল

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে (মোচিক) আখ সরবরাহ করে বিপাকে পড়েছেন মিল এলাকার ৪ হাজার কৃষক পরিবার। চিনি বিক্রি না হওয়ার অুজহাত দেখিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ চাষিদের টাকা দিচ্ছেন না। মিলের কাছে কৃষকরা পাবে প্রায় ১১ কোটি টাকা। অন্যদিকে কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে তিন মাসের। এদিকে টাকা না পেয়ে হতাশ চাষিরা পাওনা টাকার দাবিতে মাইকিং করে বিক্ষোভ এবং ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ জন্য পাওয়ানাদার কৃষকদের রোববার সকাল ১০টায় চিনিকলের অফিস এলাকায় জড়ো হতে বলা হচ্ছে। আখ চাষিরা জানিয়েছেন, ঘেরাও এবং বিক্ষোভ করে কৃষকদের আখ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের দাবি করা হবে। মোচিকের আখ চাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু বলেন, মোচিকের প্রায় ৪ হাজার কৃষক আখ বিক্রি করে তারা টাকা পাচ্ছে না। কৃষকরা এখন প্রায় ১১ কোটি টাকা পাবে চিনিকলের কাছে। কিন্তু কৃষকদের পাওনা টাকা নিয়ে কর্মকর্তারা আমলে নিচ্ছেন না। পাওনা টাকার জন্য কৃষকরা চিনিকলের কর্মকর্তাদের কাছে গেলে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণে টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মিল সুত্রে জানা গেছে, গত বছর ও এ বছর মিলে উৎপাদনের চিনি অবিক্রি রয়েছে আনুমনিক ৪২ কোটি টাকার। এ বছরের উৎপাদিত চিনি মোটিও বিক্রি হয়নি। গত ৬ মার্চ মোবারকগঞ্জ চিনি কলটি মাড়াই কার্য দিবস শেষ হয়। মাড়াই মৌসুমে চিনিকল কর্তৃপক্ষ কৃষকদের আখ বিক্রির মাত্র ২ কোটি টাকা প্রদান করেছে। এখনও পাওনা রয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ টাকা কৃষকরা কবে পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না মিল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মিলে আখ বিক্রির পাওনা টাকার জন্য কৃষকরা মিলে এসে কর্মকর্তাদের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হচ্ছে। এদিকে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারী রয়েছে প্রায় ১১শ’। তারা গত জানুয়ারি মাস থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছে না। প্রায় ৩ মাস বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক কর্মচারী দায় দেনায় জড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মাথা ভারি প্রশাসন, কাজ না করেই ওভার টাইম ও কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দক্ষিনাঞ্চলের এই ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি ডুবতে বসেছে। বিষয়টি নিয়ে মোচিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার জানান, মিলের চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণে কোন সমস্যারই সমাধান হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি চিনি কি ভাবে বিক্রি করা যায়।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:৩৫এএম/২৫/৩/২০১৮ইং)