রিটন মোস্তফা
_____________________________________________
একশো একটা পুরুষের ভোতা গন্ধ গায়
হেমলতা আকাশের তারায় আঁকে স্বপ্নটিকা
আরো একটা পুরুষ দুয়ারে দাড়ায়ে তার।
হেমলতা শব্দ খোঁজে বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে
রাতের হাড়কাপুনি ঠান্ডায় শিশির বিন্দুতে জীবন।
হেমলতা?
ওর চোখে বুদবুদ ভাসে সস্তা মাদকের
সমাজ সংসার পাদুকার নিচে দুমরে গুমরে ওঠে।
উলঙ্গ পুরুষটাকে মেলে দেয় তার অসার দেহ
ভাবতে থাকে,আর কত পুরুষ হলে তেবে তার
এ কপালের ভাঁজে উঁকি দেবে সেই সোনালি সূর্য?
এক ঠাই হেমলতা অন্ধ গোলির বাঁ পাশে
চলে গেছে নষ্ট পুরুষ ওর কাধে দম ফেলে
আরো একটা পরুষ চাই,আরো,আরো একটা…..।
হেমলতা ফুকতে থাকে সস্তা দামের ধুয় কাঠি
তীক্ষ্ম নজরে খুঁজে চলে আরো একটা পুরুষ
হোক রিকশাওয়ালা ,হোক ট্রাক ড্রাইভার বা
হোক সে পথ ভ্রষ্ট কোন বখে যাওয়া নষ্ট যুবক
এক জনমের পাপ কাঁধে তার,মেটাতে হবে না?
দিন সকালের আতঙ্কে আঁতকে ওঠে হেমলতা
বড্ড ভয় পায় সে দিনের আলো,দিনের শহর
দিনের ব্যস্ত কোলাহলের ফাঁকিবাজি এই নগর।
অন্ধকার চাই,অন্ধকার! সাতসাতটা সাথে পুরুষ
একেক পুরুষের নষ্ট শ্বাসপ্রশ্বাসে ওর শাপমোচন
এক জনমের পাপ ঘুচাতে, আরো কটা নষ্ট পুরুষ !
ভোরের পাখি ডেকে ওঠে কিচিরমিচর,উরে যায় দূরে
হাঁটু মুড়ে ডুকরে ওঠে হেমলতা,ভিজতে থাকে চোখ
ফিকে আলোর পূর্ব আকাশে চেয়ে কেঁদে ওঠে সে
হে ঈশ্বর দিন কেন দিস এই অসময়ে,অকারণে তুই
যদি না পাপ আর নষ্ট পুরুষ কাটা পরে এই কপালে?
রিটন মোস্তফা
নাটোর,বাংলাদেশ
riton@post.com
আপনার মতামত লিখুন :