• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

হজ্বের ফরজ তিনটি, কোনো ফরজ বাদপড়লে হজ্ব হয়না


প্রকাশের সময় : মে ১৪, ২০১৯, ৯:০১ PM / ৩০
হজ্বের ফরজ তিনটি, কোনো ফরজ বাদপড়লে হজ্ব হয়না

মুন্নি আলম মনি : ১৫ মে (বুধবার) মাহে রমজানের ৯দিন এবং রহমতের নবম দিবস। সেহরীরর শেষ সময় ৩ টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত এবং ইফতারের সময় ৬টা ৩৭ মিনিটে। আজ আমরা অলোচনা করবো, হজ্বের ফরজ সম্পর্কে । হজ্বের ফরজ তিনটি। ১.ইহরাম বাঁধা, ২. আরাফাতে অবস্থান করা,৩. তওয়াফে যিয়ারত করা। কোন ফরজ বাদ পরলে হজ্ব হয়না ।
১. হজ্বের প্রথম ফরজ হলো ইহরাম বাঁধা,কয়েকটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হজ্ব বা উমরারনিয়ত করাকে ইহরাম বলে। ওযু গোসলের পরে সেলাই বিহীন,সাদা কাপড় পড়ে ইহরাম বাঁধতে হয়। মৃত প্রায়ই ফকিরের বেশে আল্লাহর দরবারের হাজির হতে হয়। এ সময় রঙ্গিন কাপড় পরা যাবেনা। সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবেনা। চুল ,নখ, কাটা যাবেনা। কোন স্থল প্রানী শিকার করা যাবেনা। এমনকি মশা, মাছি,উকুন ইত্যাদিও মারা যাবেনা। সব ধরনের ঝগড়া বিবাদ,পাপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে। ইহরামের সাথে সাথে“লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক,লা- শারিকা লাকা লাব্বায়েক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি মাতা লাকাওয়াল মুলক লা শারিকা লাকা”এই দোয়া বার বার পড়বে। একেই বলে তালবিয়াহ।
২. ওকুফ বা অবস্থান । হজ্বের ২য় ফরজ হলো ৯ই জিলহজ্ব তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা।
৩. তওয়াফে যিয়ারত। হজ্বের ৩য় ফরজ হলো তওয়াফে যিয়ারত করা। কুরবানির দিনগুলোতে অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের ১০ তালিক হতে ১২ তারিখের মধ্যে কাবাঘরে তওয়াফ বা প্রদক্ষিন করাকে তওয়াফ বা যিয়ারত বলে। এই তিন দিনের যে কোনো এক দিন এই তওয়াফ করা হয়্ । তবে প্রথম দিনে তওয়াফ করা উত্তম। এই তিন দিনের পরে তওয়াফ করলে দন্ড স্বরূপ(দম) একটি কুরবানি করতে হবে ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৯:০০পিএম/১৪/৫/২০১৯ইং)