• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কুড়িগ্রামে গড়ে ওঠেনি বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব ম্যূরাল


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৩, ২:২৭ PM / ৮৭
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কুড়িগ্রামে গড়ে ওঠেনি বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব ম্যূরাল

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম : সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দিনগুলিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কুড়িগ্রামে নেই জাতির জনকের নিজস্ব ম্যূরাল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছর পার হলেও দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব ম্যূরাল কিংবা ভাস্কর্য। যেখানে জেলার সর্বস্তরের মানুষজন শ্রদ্ধা জানাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৭ ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ,১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য প্রতিবছর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের বিজয় স্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি হিসেবে জাতির জনকের অস্থায়ী ছবিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সেই ছবি ও পুস্পস্তবকগুলো দিনশেষে সেই স্থান থেকে সরিয়ে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

দীর্ঘ বছরের পর বছর এভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিবস পালন করা হলেও,প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল বা ভাস্কর্য গড়ে ওঠা নিয়ে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। দু বছর আগেও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী পালনের সময় এ বিষয়ে জেলার সংস্কৃতি কর্মীরা দাবি তুললেও পরবর্তীতে এ বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ত্রিমোহনীতে ,জেলা পরিষদ চত্বরে,কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল তৈরী করলেও জেলায় নেই তার কোন ভাস্কর্য। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই ৩টি স্থানে ম্যূরাল থাকলেও জেলায় কেন্দ্রীয় ভাবে নেই কোন নিজস্ব স্থাপনা। জেলার একক নিজস্ব কোন ম্যূরাল বা ভাস্কর্য না থাকার ফলে এ দিবসগুলোতে বিজয় স্তম্ভে অস্থায়ী ভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসনসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বসাধারণ এভাবেই শ্রদ্ধা জানায় ।

কুড়িগ্রাম জেলার ঘাতক,দালাল নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী দুলাল বোস বলেন,’দেশ স্বাধীন হবার এতগুলো বছর পরেও জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতির জনকের ম্যূরাল না থাকার বিষয়টি সত্যি কষ্ট দায়ক। স্বাধীনতার মাসে প্রশাসন চাইলেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।’

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু বলেন,’বিষয়টি দুঃখজনক হলেও সত্যি। কুড়িগ্রামে কেন্দ্রীয় বা জাতীয় এরকম কোন কিছু ম্যূরাল বা ভাস্কর্য বঙ্গবন্ধুর নাই। আমি এই বিষয়টি আগামী জেলা উন্নয়ন সভার মিটিং -এ বিষয়টি তুলে ধরবো। যাতে সবাই মিলে এক জায়গায় বাংলাদেশের স্থপতির প্রতি সকলে আমরা সম্মান প্রর্দশন করতে পারি।’

কলেজে শিক্ষার্থী কল্লোল রায় বলেন,’জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস গুলোতে দেখি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলো বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। অস্থায়ী প্রতিকৃতির ছবিটি যখন সরিয়ে ফেলে সন্ধায় অন্য প্রোগ্রাম করে তখন কিছুটা খারাপ লাগে। আমাদের জেলার নিজস্ব একটি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বা ম্যূরাল খুবই দরকার। ‘

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন,’এতদিন বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে জেলার নিজস্ব রকম ম্যূরাল কিংবা ভাস্কর্য তৈরির বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়নি। বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। আমরা আমাদের ডিসি অফিসের পুকুরটি সংলগ্ন আই লাভ কুড়িগ্রাম নামক স্থানে জেলার একটি নিজস্ব ম্যূরাল বা ভাস্কর্য তৈরি করার উদ্যোগ নেবো। যা আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে তৈরি করা সম্ভবপর হবে।’