• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

সোমবার আমরণ অনশনে যাবেন নন-এমপিও শিক্ষকরা


প্রকাশের সময় : জুন ২১, ২০১৮, ১:৫৩ PM / ৫৬
সোমবার আমরণ অনশনে যাবেন নন-এমপিও শিক্ষকরা

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা। তবে সরকার প্রধানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগামী সোমবার থেকে আমরণ অনশনে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে সংসদে ভূমিকা রাখার জন্য স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান শিক্ষক -কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা।

একই স্মারকলিপি আগামীকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি বরাবর দিবেন শিক্ষকরা। এরপর শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিকী অনশন করবেন তারা। রোববার অবস্থান কর্মসূচি। আর সোমবার আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।

এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, শুনলাম এক হাজার স্কুল-কলেজকে এমপিওর আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমরা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মানি না।

তিনি বলেন, এমন উদ্যোগের মাধ্যমে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের একটা পথ বের করবে মন্ত্রণালয়।

২০১০ সালের সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এমপিও পাওয়ার স্বীকৃতি পায়। এই ৮ বছরে এমপিও পাওয়ার জন্য প্রায় ৭ হাজার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিও করা না হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিনয় ভূষণ রায়।

তিনি বলেন, ২৬ হাজার রেজিস্ট্রার প্রাইমারি স্কুল প্রধানমন্ত্রীর এক ঘোষণায় জাতীয়করণ হয়ে গেছে। আমাদের এমপিও করার ঘোষণা একইভাবে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তাহলে কেন করা হবে না সবাইকে একযোগে এমপিও?

নন-এমপিও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদন্নবী (ডলার) বলেন, এই নিয়ে ২৭ বার আন্দোলন করছি আমরা। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করার সময় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেলেন। এমন আশ্বাস বিগত দিনেও তিনি দিয়েছেন। তাই তাকে আর বিশ্বাস করতে পারি নাই। এ জন্য তার কথায় আন্দোলন থামানো হয় নাই। এরপরে ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাই।

তিনি বলেন, এরপর শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছেন, আমার কথায় না সরে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো এক কর্মচারীর কথায় রাস্তা ছেড়েছেন। আমিও দেখে নিবো কিভাবে আপনারা এমপিও পান।

এ কারণে নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানদের আরো চেপে ধরেছেন মন্ত্রী। এমপিও পাওয়ার জন্য চলতি মাসের ১২ তারিখ আরো কিছু নীতিমালা সংযোজন করা হয়। যা অন্যায় ভাবা করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।

এমপিও আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারি দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রত্যাশা করছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা বলছেন, কতো বছর বিনা বেতনে শিক্ষাদান করবো। মানবেতর জীবনযাপন করতে পারছি না। এ জন্য ঈদের সময় আমরা রাস্তায় নেমেছি।

উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুখা মিছিল করেছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের উল্টো দিক থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয় মিছিলটি।

২৭ বারের মতো এই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা। ১৪টি ধাপ পার করে একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও এমপিও না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১:৫২পিএম/২১/৬/২০১৮ইং)